কেক কাটার মধ্য দিয়ে বরিশালে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কেক কাটার মধ্য দিয়ে বরিশালে শুরু হয়েছে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারী) প্রথম প্রহরে অর্থাৎ রাত ১২টা ১ মিনিটে সোহেল চত্বর দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের আয়োজনে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সুমন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সভাপতি আতিকুল্লাহ মুনিম, সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত, অনিক সেরনিয়াবাদ, রাজীব আহমেদ, রইজ আহম্মেদ মান্নাসহ সহস্রাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে জাতির জনকের মূরাল্যে শ্রদ্ধা নিবেদন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা।
মূলত বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলা, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম হয়।
উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফার পক্ষে গণঅংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে।
এরপর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ছিনতাই হয়ে যায় স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) দেশে ফিরে স্বাধীনতার চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের সূচনা করেন। ছাত্রলীগ ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে।
সংগঠনটির ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে ৫ দিনব্যাপি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।