২৮ বছর পর যুবলীগ থেকে মহারাজের বিদায়

২৮ বছর পর যুবলীগ থেকে মহারাজের বিদায়
মো. কামরুল আহসান মহারাজ
বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. কামরুল আহসান মহারাজ ২৮ বছর পর মঙ্গলবার বরগুনা টাউন হল ময়দান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুবলীগ থেকে বিদায় নিয়েছেন।
জানা যায়, মহারাজের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হন ১৯৮০ সালে। ১৯৯৩ সালে বরগুনা জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য হন। তিনি বর্তমানে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা পৌরসভার মেয়র।
মহারাজ বলেন, আমি ১৪ বছর বয়সে ছাত্রলীগের স্কুল কমিটির সদস্য হই। আমি আইন পেশায় যুক্ত হলেও কোনো দিন চাকরির জন্য আবেদন করিনি। আমার ৫৫ বছর বয়সে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ও বিএনপির শাসনামলে বহুবার জেল খেটেছি।
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমি যুবলীগ থেকে অবসরে গেলেও আওয়ামী লীগে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছি। আমি বাকি জীবন আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে কাজ করতে চাই। পৌরসভায় জনগণ ভোট দিয়ে মেয়র বানিয়েছে। জনগণের সেবাই আমার ব্রত।
বরগুনা শহরের টাউন হল মাঠে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বরগুনা জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি মেয়র কামরুল আহসান মহারাজের সভাপতিত্বে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, প্রেসিডিয়াম সদস্য বাবু সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সুলতানা নাদিরা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু প্রমুখ।
এইচকেআর