জাওয়াদে কপাল পুড়লো ভোলার ৫৯ হাজার কৃষকের
ভোলা প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে ভোলার সাত উপজেলায় তিন হাজার ৯১৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার ৫৮ হাজার ৮১৫ জন কৃষক। এছাড়াও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯ হাজার ৬৯১ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল।ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মো. সেলিম মিয়া জানান, এ বছর ব্যাংক ও এনজিওর থেকে ঋণ দুই একর জমিতে আমন ধান করেছিলেন।
ক্ষেতের অধিকাংশ ধান কাটার উপযোগী হয়। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে এসব ধান।একই এলাকার কৃষক মো. মোসলে উদ্দিন জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে আমন ধান করেন তিনি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিতে সব ধানই নষ্ট হয়ে গেছে।ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের কৃষক মো. আলী আশরাফ জানান, দেড় একর জমিতে গম, সরিষা চাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু বাতাস-বৃষ্টির পানিতে সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে চিন্তিত।বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মো. কবির হোসেন জানান, এক একর জমিতে প্রায় ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে আলু রোপণ করেন তিনি।
এর পাঁচদিনের মধ্যেই বৃষ্টিতে তার ক্ষেত তলিয়ে যায়। এতে সব নষ্ট হয়ে যায়।ভোলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. হুমায়ুন কবির জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে তিন হেক্টর আমন, দুই হাজার ৮৯১ হেক্টর খেসারি, চার দশমিক ২৫ হেক্টর মসুর ডাল, ৪৩২ হেক্টর সরিষা, ৩৫ হেক্টর গম, ৬১ হেক্টর আলু ও বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি ১৯৮ হেক্টর। এছাড়াও ১৯ হাজার ৬৯১ হেক্টর ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল বকীর জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ৫৮ হাজার ৮১৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করেছি। তাদের সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হবে।