ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধন শক্তিশালী ও প্রসারিত হয়েছে

মৈত্রী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী

NEWSNEWS
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  05:04 AM, 07 December 2021

অনলাইন ডেস্কঃভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেবল বিভিন্ন চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকে সীমাবদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা,ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও অন্যান্য বিভিন্ন অভিন্নতার যৌথ মূল্যবোধে পরিগণিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধুত্বের।

এ বন্ধন দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী থাকবে।মৈত্রী দিবস বা বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রচারিত দুই মিনিটের ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (আইসিডাব্লিউএ) ১৯৭১ সালের আজকের দিনে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। দিবসটি উপলক্ষে আজ সোমবার নয়াদিল্লীতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর ভিডিওবার্তা প্রচারিত হয়।শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমাদের বিশাল অংশীদারিত্ব পরিপক্ক হয়েছে, গতিশীল, ব্যাপক ও কৌশলগত আকার নিয়েছে। দুই দেশের সার্বভৌমত্ব, সমতা, বিশ্বাস ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক মতবিনিময় ও আদানপ্রদান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন আরও শক্তিশালী, বৈচিত্রময় ও প্রসারিত করেছে।কভিড-১৯ এর কারণে আরোপিত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যকার সমস্ত স্তরে সম্পর্ক স্থিতিশীল ও শক্তিশালী রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

আজ আমি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সামগ্রিকভাবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভারতের জনগণের উদারতার কথা স্মরণ করছি।শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যাত্রায় এটি একটি মাইলফলক। আমি এ বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী যে দুই দেশ ও দেশের জনগোষ্ঠী একত্রে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারণাকে বাস্তবতায় পরিণত করে চলবে।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান ও আইসিডাব্লিউএ মহাপরিচালক বিজয় ঠাকুর সিং বক্তব্য রাখেন।

আপনার মতামত লিখুন :