ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি
বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় শনিবার থেকে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে অঞ্চলটিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় গত দুদিনে আলো দেখা যায়নি। একদিকে শীত অন্যদিকে জাওয়াদের প্রভাবে অনবরত বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। উপকূলের মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও ঝড়ের আতংক বিরাজ করছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মাহতাব হোসেন বলেন, নদীগুলোতে পানি বেড়েছে। তবে এখনো তা বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাওয়াদ মোকাবিলায় আমরা সতর্ক রয়েছি।তিনি বলেন, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আজ থেকে বৃষ্টি আরো বাড়তে পারে। একই সঙ্গে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। জাওয়াদের প্রভাব মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা জানান, ঘূর্নিঝড় ‘জাওয়াদ’ এর প্রভাবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় বরিশালে ৪.৫ মিলিমিটার বৃস্টি হয়েছে। থেমে থেমে বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃস্টি হচ্ছে। দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে আরও বৃস্টির সম্ভাবনা রয়েছে।গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী দুই-তিন দিন দেশে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।