বরিশালে জমজমাট শীতবস্ত্রের বিকিকিনি
অস্বাভাবিক দাম হাঁকানোর অভিযোগ ক্রেতাদের বিরুদ্ধে
মজিবর রহমান নাহিদ, বরিশাল ॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার থেকে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় গত দুদিনে আলো দেখা যায়নি অনেক জায়গায়। কখনও আবার রোদের আভা। কখন গরম আবার কখন শীত। মাঝে মাঝে হালকা বাতাশ হচ্ছে। গত দুই দিন ধরে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া বরিশালে দোকানগুলোতে গরম পোশাক বিক্রিরও হিড়িক পড়ে গেছে। নগরীর ফুটপাতও এখন শীতবস্ত্রের দখলে, ক্রেতাও প্রচুর।
নগরীর চকবাজার, মহসিন মার্কেট, সিটি মার্কেট, র্গীজা মহল্লা, কালেক্টরেট পুকুরের পাড় সহ প্রায় সব এলাকায় শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে। সবত্রই বেশি বিক্রি হচ্ছে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের কাপড়। মাথার টুপি, পায়ের মোজা, হাতমোজা, মাফলার, সোয়েটার, জাম্পার, ফুলহাতা গেঞ্জি, কম্বলের দোকানের ভিড় চোখে পড়ার মতো। কালেক্টরেট পুকুরের পাড়ের ফুটপাতে ভিড় করা ক্রেতারা বলছেন, শীতের শুরুতে কেনা পোশাক এই তীব্র শীতে কোনো কাজে লাগছে না। তাই তারা আবার ছুটছেন কনকনে শীত থেকে বাঁচতে পারেন এমন পোশাকের সন্ধানে। আর ক্রেতাদের এ চাহিদাকে পুঁজি কওে কয়েকগুণ বেশি হাঁকানোর অভিযোগ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। মহসিন মার্কেট ও কালেক্টরেট পুকুরের পাড়ে অস্বাভাবিক দাম হাঁকানোর অভিযোগ তুলে বিভিন্ন সময় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। তবে অনেকটা অসহায়ের মতোই দোকানির চাওয়া দামেই কিনে নেন পছন্দের একটি সোয়েটার।
বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করলেও গত কয়েকদিন যাবৎ দাম একটু বেশিই বলে স্বীকার করেন একাধিক বিক্রেতা। গতকাল চকবাজার এলাকায় শীতের জামা কিনতে যান গৃহবধূ সুমি বেগম। সঙ্গে ১০ বছরের মেয়ে মিম। শীতের শুরুতে কিছু পোশাক কেনা হয়েছে। শীতের তীব্রতায় ওই পোশাক কোনো কাজে লাগছে না। কিন্তু দোকানে দোকানে ক্রেতার ভিড় প্রচুর। আর এ সুযোগে বিক্রেতাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেও যে কাপড় ৪০০/৫০০ টাকায় ছিল, এখন তা হাজার টাকার কমে দিতেই চাইছে না। গীর্জ মহল্লা এলাকায় ভ্যানে করে শীতের পুরনো কাপড় বিক্রি করছিলেন সাদেক মুন্সি। তিনি বলেন, গত ২-৩ দিনে যে পরিমাণ বেচাকেনা হয়েছে, তা গত এক মাসেও বিক্রি হয় নি। এদিকে শীতের পোষাক বিক্রেতাদের অস্বাভাবিক দাম হাঁকানোর ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নগরীর সচেতন মহল।