উত্তেজনা-শঙ্কার তৃতীয় ধাপের ভোট আজ
নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ৩
বরিশাল বিভাগের ২৫ ইউপিতে ভোট
ভোট ছাড়াই জয়ী ১০৮৩ চেয়ারম্যান-মেম্বার
কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
অনলাইন ডেস্কঃ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট আজ রবিবার। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো এই ধাপের ভোটের আগেও ঘটছে সহিংসতার ঘটনা। কোথাও প্রার্থীকে পিটিয়ে আহত করা হচ্ছে, কোথাও কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, কোথাও আবার সমর্থকদের সংঘর্ষে ঝরছে প্রাণ। গত শুক্রবারও এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ তিনজনের প্রাণ গেছে। এর ম্যধে শরীয়তপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক মোল্লাকে।
ভোলায় মাঝনদন্ডীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক যুবলীগ নেতা। আর টাঙ্গাইলের নাগরপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন একজন।চলমান এই সহিংসতা নিয়ে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ‘নির্বাসন’ থেকে ফিরবে ততদিন সহিংসতা বন্ধ হবে না। তবে কমিশন বলছে, নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা এখন সারা বিশ্বেই হচ্ছে। তারপরও বিষয়টি দেখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। গত শুক্রুবারের আগে ইউনিয়ন পরিষদের দুই দফা নির্বাচনে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। দেশ রূপান্তরের হিসাবে গতকালের তিনজনসহ সেই সংখ্যা বেড়ে হলো ৪৩।শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের (নৌকা) চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক আব্দুর রাজ্জাক মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল ভোর ৫টার দিকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা (৬০) ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরযাদবপুর গ্রামের মৃত নাজির মোল্লার ছেলে।এর আগে গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাতাং পাকার মাথা এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের কর্মী-সমর্থকদের হামলায় রাজ্জাক মোল্লা আহত হন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এর মধ্যে আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের (নৌকা) চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন আসমা আক্তার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। নির্বাচনে বিজয়ী হন আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।ভোটের আগে ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাতাং পাকার মাথা এলাকায় নির্বাচনী ক্লাবে ১০-১৫ জন আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) আসমা আক্তারের সমর্থকরা বসে ছিল। হঠাৎ বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সমর্থকরা ক্লাবের সামনের সড়ক দিয়ে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। তখন দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাগ্বিত-া হয় ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। একপর্যায়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের কর্মী-সমর্থকরা আওয়ামী লীগের সমর্থক আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা (৬০), আক্তার মোড়ল (৪৫) ও বাবু মোল্লাকে (৩০) দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় পরের দিন ৮ নভেম্বর ৭৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে আসমার সমর্থক মনির মোড়ল বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেন।আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও তার কর্মী-সমর্থকরা আমার বাবাকে কুপিয়ে আহত করে। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা মারা যান।
তবে বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার মোবাইল ফোনে বলেন, দোষ তো আমাদেরই দিবে, কারণ আমরা তাদের বিপক্ষে ছিলাম। আসলে রাজ্জাক মোল্লার ঘটনায় আমরা জড়িত নই।আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী আসমা আক্তার বলেন, রাজ্জাক মোল্লাকে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও তার লোকেরা কুপিয়ে হত্যা করল। আমরা হত্যা মামলা করব।শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আক্তার হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যার হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছিল। আমরা আটজন আসামিকেও আটক করেছিলাম। আহত রাজ্জাক মোল্লা মারা গেছেন। এখন হত্যা মামলা হবে।ভোলায় যুবলীগ নেতার মৃত্যু : জেলার সদর উপজেলায় নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. খোরশেদ আলম টিটু (৩২) নামে এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত খোরশেদ উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইনগর গ্রামের তছির আহম্মেদের ছেলে ও ওই ইউনিয়নের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। শুক্রুবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ধনিয়া নাছির মাঝি ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু তার কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য মদনপুরে যান। তার সঙ্গে ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলমও মদনপুরে যান। দুপুরে খাবার খেয়ে মদনপুর থেকে চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নুসহ মদনপুর থেকে যাত্রীবাহী ট্রলারে করে ভোলায় আসছিলেন। ট্রলারটি নাছির মাঝি ঘাটের কাছাকাছি এলে পিছন দিক থেকে একটি স্পিডবোটে ৮-১০ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় ট্রলারের মাঝি ট্রলারটি জোরে চালিয়ে স্পিডবোটকে ধাক্কা দিলে বোটটি উল্টে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা খোরশেদ আলম টিটুর মাথায় গুলি লাগলে সে গুরুতর আহত হন। পরে ট্রলারটি ঘাটে এলে আহত খোরশেদ আলম টিটুকে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের পরিবারের দাবি, মদনপুর ইউনিয়নের পরাজিত প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন সকেট তার ভাগিনা নিরবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিজয়ী প্রার্থী নাছির উদ্দিন নান্নুকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করেছে।ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নাগরপুরে নিহত ১ : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নে পাইকাল গ্রামে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং গুলিবিদ্ধসহ আহত চারজন। নিহত তোতা শেখ (৪০) উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের পাইকাইল গ্রামের আক্কেল মেম্বারের ছেলে। গুলিবিদ্ধ দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।গুলিবিদ্ধ আক্কেল মেম্বারের ছেলে রফিক শেখ বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলাম। হঠাৎ আমাদের গ্রামের দপ্তিয়র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুদ্দীন আমাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কাজ না করার অভিযোগ আনে। এ বিষয় নিয়ে শুক্রুবার বিকালে আমাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সন্ধ্যায় সাইফুদ্দীন, সুমন, খাজা ও জাহাঙ্গীর সদলবলে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় আমার পায়ে গুলি লাগে, পাইকাল গ্রামের মিনহাজ মন্ডলের ছেলে বাচ্চু মন্ডল, সুমন, কবীর ও আমার ভাই তোতা শেখ গুরুতর আহত হন। পড়ে লোকজন আমাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর হসপিটালে নিয়ে এলে তোতা শেখ মারা যান।নাগরপুর থানার ওসি সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।এদিকে নির্বাচন কমিশন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশাসনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মাঠ প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাচনপূর্ব এবং নির্বাচনের দিনে কার্যকর ভূমিকা পালনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। গত ২০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জানান, মাঠ প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কার্যকর ভূমিকা পালন করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জাতিকে একটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেবে।তবে অনেকটা উল্টো সুরে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সারা পৃথিবী অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। সেই অসহিষ্ণুতার বহির্প্রকাশ দেখা দিচ্ছে। যেখানে নির্বাচন হচ্ছে সেখানেই সেটা দেখা দিচ্ছে এবং প্রকট হয়ে উঠেছে।’ এ সময়ে তিনি বলেন, ‘আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ প্রতিবেশী দেশ ভারতে নির্বাচনী সহিংসতায় মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশে নির্বাচনী সহিংসতা কি হয়েছে, না হয়েছে সেটা ইনভেস্টিগেট করতে দেন? দেখতে দেন। পুলিশ আছে, ম্যাজিস্ট্রেট আছে তাদেরকে দেখতে হবে। দে উইল টেক কেয়ার।’আর এই সহিংসতার দায় ইসির ওপর দিয়ে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে এই সহিংসতা বন্ধ হবে না ততদিন, যতদিন স্বার্থসিদ্ধির রাজনীতি বন্ধ না হবে। জোরজবরদস্তি করে প্রতিপক্ষকে মাঠছাড়া করতে পারলেই জিতে যাওয়ার সুযোগ এখানে অবারিত। আবার কোনোভাবে নির্বাচনে জিততে পারলেই তাদের দুর্নীতি ও চুরির অবাধ সুযোগ হয়। যা খুশি তাই করতে পারে, তাই নির্বাচনে জেতার জন্য সবকিছুই করে প্রার্থীরা।’ একই সঙ্গে সহিংসতার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনের কর্মকা-ের সমালোচনা করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকেও নির্বাসন থেকে ফিরে আসতে হবে। পদ- পদবির লোভেও কমিশন কোনো কথা বলে না। একটা শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনও দরকার। জনপ্রতিনিধি হয়ে চুরি করে লাভবান হলে যে কেউই চাইবে জোর করে বা যেকোনো উপায়ে নির্বাচিত হতে।’ এদিকে তৃতীয় ধাপে বরিশাল বিভাগের ৭টি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন পরিষদে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন আজ ২৮ নভেম্বর রোববার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর তাই শনিবারের মধ্যেই নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটগ্রহণে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে যাবতীয় সরঞ্জামাদি। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচনী এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে নির্বাচনী এলাকায় টহল জোরদার করেছে স্ট্রাইকিং ফোর্স।এদিকে, ‘শুরু হওয়া নির্বাচনে বরিশাল জেলার ৩টি উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে উজিরপুরে তিনটি, বাবুগঞ্জে একটি এবং মুলাদী উপজেলার একটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ করা হবে।এর বাইরে বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা এবং পিরোজপুরসহ মোট ২৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য নির্বাচন করতে প্রস্তুত ভোটাররা। নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা, গুঠিয়া ও বামরাইল ইউনিয়ন, বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর এবং মুলাদীর বাটামারা ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩য় ধাপের নির্বাচন।অপরদিকে বিভাগের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর, নাচনাপাড়া, চরদুয়ানী এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী, মির্জাগঞ্জ সদর, আমড়াগাছিয়া, দেউলিসুবিদখালী, কাকড়াবুনিয়া এবং মজিদবাড়িয়া, ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়ন, ঢালচর, আবুবকরপুর, আব্দুল্লাহপুর, ওসমানগঞ্জ, চরমানিকা, রসুলপুর এবং চর কুকরীমুকরী, পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ছয়নারঘুনাথপুর ও চিড়াপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন ভোটাররা।
বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার উজিরপুর, বাবুগঞ্জ এবং মুলাদীতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৭ জন। এরমধ্যে উজিরপুরের ৩ ইউনিয়নে ১০ জন, বাবুগঞ্জের ১টি ইউনিয়নে ৫ এবং মুলাদীর ১টি ইউনিয়নে ২ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। এই ৫ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৭১৩ জন। উজিরপুরে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২৯, মোট ভোটার রয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৯৩ জন। বাবুগঞ্জে মোট ভোটার রয়েছেন ২১ হাজার ৫৫৩ জন, কেন্দ্রের সংখ্যা ১০। এছাড়া মুলাদীর ১০ ভোটকেন্দ্রে সর্বমোট ১৯ হাজার ৭৬৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ২ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাই ৪ নভেম্বর ও প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয় ১১ নভেম্বর।প্রসংগত, নির্বাচন উপলক্ষে এসব এলাকায় নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২ টা থেকে ২৮ নভেম্বর মধ্যরাত ১২ টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়ে জারি করা হয়েছে প্রজ্ঞাপন।