এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে আটক ২
এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে আটক ২
কলাপাড়ায় এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক ছাত্রীকে ধরে নিয়ে ধর্ষন চেষ্টার পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে রেজিষ্ট্রেশন ও এডমিড কার্ডসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয় এবং রাত ১২ টায় নির্যাতিতাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ঘটনার রাতেই স্থানীয়দের সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত মুল হোতা বাহাদুর তালুকদার এবং নির্যাতনকারী সুজন হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ।
সেই সাথে অসুস্থ শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে বৃহষ্পতিবার বেলা এগারোটায় শিক্ষার্থী নিজেই বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী কলাপাড়া হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নির্যাতিতা শিক্ষার্থী ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লালুয়া ইউপির একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী ভোকেশনাল বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিতে ঘটনার দিন খেপুপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসেন। পরীক্ষা শেষে দুপুরে পূর্বপরিচিত নুরবাহাদুরের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। পথিমধ্যে তাকে জোড়পূর্বক মোটর সাইকেলে করে লালুয়া ইউপির চর-চান্দুপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন চেষ্টা চালায় নুরবাহাদুর।
এসময় শিক্ষার্থীর ডাকচিৎকারে সুজন,নিপুন শরীফসহ বেশ কয়েকজন যুবক ঘটনাস্থলে আসে। পরে ওই যুবকরাও শিক্ষর্থীকে নির্যাতনসহ তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লিলতাহানী করে এবং মোবাইল ফোন, এডমিট ও রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এসে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার নিজ বাড়ি বালিয়াতলী ইউপির চর নজির এলাকায় পৌঁছে দেয়।
লালুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবনি কুমার রায় জানান, আমি ঘটনা শুনে হাসপাতালে এসে পরীক্ষার্থীর সাথে দেখা করেছি। তার পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো.জসীম জানান, এ ঘটনায় শিক্ষার্থী নিজেই বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অব্যাহত রয়েছে।