মঠবাড়িয়ার সেই সার্ভেয়ার আসাদ প্রত্যাহার
ঘুস-বাণিজ্যের অডিও ফাঁস
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আসাদ উল্ল্যাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানান, সোমবার দুপুরে সার্ভেয়ার আসাদ উল্লাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।সার্ভেয়ার আসাদের বিরুদ্ধে তিনি ভূমি কার্যালয়কে ঘুস বাণিজ্যের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন। জমির ডিসিআর পাইয়ে দেওয়ার নামে তিনি ভূমি কার্যালয়ে প্রকাশ্যে ঘুস নেন।
একটি জমির (ভাড়া) ডিসিআর অবৈধভাবে পাইয়ে দিতে ফার্মেসি দোকানদার আতিকুল ইসলামকে সম্প্রতি সার্ভেয়ার আসাদ ৫ লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন। তাঁর এ ঘুস দাবির অডিও রোববার রাতে ফাঁস হয়েছে। ঘুস বাণিজ্যের অডিওটি ফাঁস হলে তা সোমবার মঠবাড়িয়ায় টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়। ফাঁস হওয়া অডিওটি যুগান্তরের হাতে এসেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সার্ভেয়ার আসাদ বলেছেন, অডিওটি এডিটিং করা।জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা বাজারের মক্কা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী আতিকুল ইসলাম ঘর (জমি) ভাড়া নিয়ে তিন বছর ধরে ওষুধের ব্যবসা করে আসছেন। ডিসিআর সূত্রে ওই জমির মালিক মিজানুর রহমান বাবু। বাবু ঢাকায় থাকার সুযোগে আতিকুল সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বাবুর জমির (ভিটির) ডিসিআর সংক্রান্ত নথি গায়েব করেন।
পরবর্তী সময়ে রাজস্ব দিতে গিয়ে বাবু নথি পাননি। ফলে তিনি জমির খাজনা নবায়ন করতে পারেননি। এ সুযোগে সার্ভেয়ার আসাদের যোগসাজশে আতিকুল (ভাড়াটিয়া) জমির ডিসিআর কেটে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। ডিসিআর নিজের নামে কাটতে আতিকুল ৫ লাখ টাকা সার্ভেয়ার আসাদকে ঘুষ দিতে রাজি হন। ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় আসাদের কথামতো তিনি (আতিকুল) টাকা নিয়ে ভূমি কার্যালয়ে যান। কিন্তু এ সময় ঘুষ লেনদেনের অনুকূল পরিবেশ না হওয়ায় আসাদ কৌশলে আতিকুলকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেন।এদিকে, ডিসিআর গায়েব ও জমি নিয়ে ভাড়াটিয়া আতিকুল অসাধু উপায় অবলম্বন করায় ওষুধের দোকান গুছিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য তাকে চাপ দেন জমির মালিক বাবু। এক পর্যায়ে দোকানটিতে তিনি (বাবু) তালা লাগিয়ে দেন। দোকানের দখল নিতেই আতিকুল অবৈধভাবে জমির ডিসিআর নিজের নামে করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। আতিকুল উপজেলার বড় শৌলা গ্রামের মালেক মাওলানার ছেলে।