শীতের শুরুতেই খাকদোন নদে নাব্যতাসংকট!

NEWSNEWS
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  02:08 AM, 24 November 2021

অনলাইন ডেস্কঃ শীতের মৌসুম শুরু না হতেই বরগুনায় খাকদোন নদে পানিস্বল্পতার কারণে নাব্যতাসংকট দেখা দিয়েছে। এতে নৌচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বালুতে আটকে লঞ্চের পাখা ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খাকদোন নদের দুই পাড় অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। অনেক স্থানে নদের মাঝখান পর্যন্ত দখল হয়ে গেছে। পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে পলি জমে নদটি ভরাট হচ্ছে। এতে নাব্যতাসংকট দেখা দিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে নদ বিপন্ন হলে এলাকার পরিবেশ ও ব্যবসা-বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়বে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন অধিদপ্তর (বিআইডব্লিউটিএ) বরগুনা নদীবন্দর কার্যালয়ে সূত্রে জানা গেছে, একসময় নদটি প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার প্রশস্ত ছিল। এখন তা কমতে কমতে সিকি কিলোমিটারও নেই। নৌচলাচল স্বাভাবিক রাখতে খনন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যে আবার পলি জমে নদ ভরাট হয়ে যায়। ভাটার সময় দুই-তিন ফুট পানি থাকে নদে। আটকে যাওয়া নৌযানগুলোকে জোয়ারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। খাকদোন নদের সংযোগস্থল পোটকাখালী থেকে বরগুনা পৌর শহরের মাছবাজার এলাকা পর্যন্ত ১৫০ জন অবৈধ দখলদারের তালিকা করা হয়েছে।সরেজমিন দেখা গেছে, খাকদোন নদের দক্ষিণ পাড়ের পোটকাখালী এলাকা থেকে মাছবাজার সেতু পর্যন্ত অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। শহরের কাঠপট্টি এলাকায় নদের চর দখল করে কাঠবাজার গড়ে তোলা হয়েছে।ইউনুস নামের এক কার্গোচালক (সুকানি) বলেন, ভাটির সময় খাকদোন নদে পানি কমে যায়।

এ সময় নদের ভেতরে ঢোকা যায় না। জোয়ারের জন্য দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিষখালী নদীতে নোঙর করে অপেক্ষা করতে হয়।বরগুনা-ঢাকা নৌপথে চলাচলকারী ফারহান-৮ লঞ্চের মাস্টার শামিম আহম্মেদ বলেন, বরগুনা নদীবন্দর ঘাট থেকে বিষখালী মোহনায় যেতে স্বাভাবিকভাবে চালালে ১০-১২ মিনিট সময় লাগে। পানিস্বল্পতার কারণে এখন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগে। এ ছাড়া লঞ্চ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা হয়। গত মাসে লঞ্চ আটকে থাকার কারণে একটি পাখা ভেঙে গিয়েছিল।বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের অধীন বরগুনা নদীবন্দর কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ বলেন, ‘বেপরোয়া দখলের কারণে নদটির অস্তিত্ব বিপন্ন। দ্রুত সময়ের মধ্যে নদের খনন শুরু হবে। নিয়মিত এলাকায় বিষখালী নদীতে খননকাজ চলছে। সেখানে শেষ হলে খাকদোন নদের খননকাজ শুরু হবে।জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, খাকদোন নদের নাব্যতাসংকট দূর করার জন্য খনন করা খুব জরুরি। তবে খনন করা মাটি ফেলার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। জায়গা পেলে দ্রুত নদ খননের কাজ শুরু করা হবে।জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘আমরা ইউপি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। নির্বাচন শেষ হলেই খাকদোন নদের দুই পাড়ের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে।’

আপনার মতামত লিখুন :