দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত সাগরকণ্যা কুয়াকাটা
পুণ্যার্থীর পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাস উৎসব

কুয়াকাটা থেকে ফিরে, এইচ আর হীরা॥ সাগরকণ্যা কুয়াকাটা সৈকতে হাজারো পুণ্যার্থীর পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবের। শুক্রবার ( ১৯ নভেম্বর) ভোরে সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজাপার্বণ শেষে পুণ্যস্নানে অংশ নেন ভক্তরা। এ সময় তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে কুয়াকাটা সৈকত এলাকা। পুণ্যার্থীরা সারা বছরের পঙ্কিলতা দূর করাসহ করোনা মহমারি থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার রাসভক্ত পুণ্যার্থী বৃহস্পতিবার সারারাত কুয়াকাটা রাধাকৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
তারা রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতীমা দর্শন করেন। কুয়াকাটা সৈকতে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভক্তরা শুক্রবার দুপুর থেকে কলাপাড়া উপজেলা শহরের মদনমোহন সেবাশ্রমে ধর্মীয় উৎসবে যোগ দেয়। আজ শনিবার সকালে সেখানে এই উৎসব শেষ হবে। স্থানীয়রা জানান, কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথির এই লগ্নে কুয়াকাটা সৈকতে হাজারো পূণ্যার্থীর গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে রাস পূর্ণিমা উৎসব ও গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়। ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাগর তীরে এ পূণ্যস্নান সম্পন্ন করে। এর পর পূন্যার্থীরা দল বেঁধে কলাপাড়া পৌর শহরে অবস্থিত শ্রী শ্রী মদন মোহন সেবাশ্রম আঙ্গিণায় ১৭ জোড়া রাধা কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন ও মেলায় মিলিত হবেন। এদিকে রাস উৎসবে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন পরে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে সাগরকণ্যা কুয়াকাটা। পুরো কুয়াকাটায় ছিলো পর্যটকের সমাগম।
প্রতিটি হোটেল-মেলেটেই পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়। হোটেল সমুদ্র বিলাসের স্বত্তাধিকারী ইলিয়াশ শেখ জানান,‘করোনার আমাদের ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো, দীর্ঘদিন পরে আবার পর্যটকদের ভীড় শুরু হয়েছে এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে। কুয়াকাটা তার চীরচেনা রূপে ফিরেছে দেখে ভালোই লাগছে।’