জমে উঠছে বরিশালে ফুটপাতে শীতবস্ত্র বিক্রি
অনলাইন ডেস্কঃ কার্তিক মাসের শেষেই শীতের আমেজ পড়েছে দক্ষিনাঞ্চল জুড়ে। গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরে পরিবেশে এর প্রভাব কম হলেও কিছুটা শীতের আগমনী বার্তা অনুভব করছে বরিশাল নগরবাসীও। নগর জুড়ে শীতের আমেজ শুরু হওয়ার আগেই গরম কাপড়ের বাজারেও বেশ জমজমাট বেচাকেনা চলছে।
ইতোমধ্যেই জমে উঠেছে নগরীর ফুটপাতের শীতের কাপড়ের বাজার। মহামারি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও আগের চেয়ে অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে। মৃত্যু ও শনাক্তর সংখ্যা শীত শুরুতেই বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বরিশাল সিটি করর্পোরেশন সংলগ্ন জেলা পরিষদের পুকুরের পাশ জুড়ে অবস্থিত গরীবের মার্কেট ফুটপাত মার্কেট। বরিশালে হতদরিদ্র থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারকেও ফুটপাতের পুরাতন কাপড়ের ওপর নির্ভর করতে দেখা গেছে। বরাবরের মতো এবারও সবার আগেই বরিশালে বিভাগ জুড়ে শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে।
তাই বরিশাল জেলার মানুষের ভরসা রাস্তার ধারে, সিটি মার্কেট ও মহাসিন মার্কেট, ট্রাক টারর্মিনাল, বাস টারর্মিনালসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে জ্যাকেট, সোয়েটার, শার্ট, প্যান্ট কম্বলসহ নানান ধরণের শীতের পোশাক। সারা বছর টুকটাক ব্যবসা হলেও এই সময়ে ফুটপাতসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারী কাপড় ব্যবসায়ীরা উৎসবমুখর পরিবেশে ব্যবসা শুরু করতে দেখা গেছে। অনেক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতার ভ্যানে করে শীতের পোশাক বিক্রির চিরচেনা দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। আবার ফেরি করে বিক্রি করতে দেখা যায় উলের মোজা, টুপি, মাফলারসহ বাহারি সব শীতের কাপড়। তাছাড়া কাপড়ের দাম সস্তা ও ভাল মানের হওয়ায় এই সব সেকেন্ড হ্যান্ড বিদেশী গরম পোশাক কিনতে গ্রামগঞ্জ থেকেও অনেকে ছুটে আসেন বরিশালের ফুটপাতের মার্কেটে।
এখানে যারা কেনাকাটা করতে আসে তার মধ্যে বেশির ভাগ গরীব ও মধ্যবিত্ত।বরিশাল জাদু ঘরের সামনে ফুটপাতে পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী কবির বলেন, ‘আমি প্রতি বছরই শীতের পুরাতন পোষাকের দোকান বসাই। বিবি পুকুরপাড়ে ফুটপাতের ভ্যান গাড়ি থেকে পোষান কেনা সহীদ বলেন, হঠাৎ করে শীত নামার কারণে সন্ধ্যার পরে একটু একটু ঠান্ঠা নিবারণের জন্য একটি সোয়েটার কিনলাম ১ শ’ টাকা দিয়ে। সামর্থ্য না থাকায় ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে শীতের পোশাক কিনে থাকি । রিক্সা চালক কবির বলেন, ফুটপাতের দোকান হলো গরিবের শপিংমল। তাই আমার মত গরিবেরা এ দোকানগুলো থেকে প্রতিবছর শীতে কাপড় কিনে পরি।