বরিশালে শেখ রাসেল শিশু পার্কের জমি দখল ছাত্রলীগ নেতার

NEWSNEWS
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:58 AM, 09 November 2021

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের বাকেরগঞ্জে প্রশাসনের বাধায় দুই মাস দখল বাণিজ্য বন্ধ রাখার পর ফের নতুন করে শিশুপার্কের জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলছেন এক ছাত্রলীগ নেতা।উপজেলায় শিশুদের জন্য সরকারের বরাদ্দ শেখ রাসেল শিশুপার্কের বাউন্ডারি করা জমি দখল শুরু করেছেন বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম রাজু।

এর আগে গত আগস্টে এই পার্কের এক প্রান্তে ওই ছাত্রলীগ নেতা অফিস ঘর নির্মাণের পাঁয়তারা চালান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা প্রশাসন নির্মাণাধীন স্থাপনার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর বাকেরগঞ্জের সাহেবগঞ্জে শেখ রাসেল শিশুপার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) নাসরিন জাহান রত্না। এরপর সেই পার্কের জমি তারকাঁটা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়।পর্যায়ক্রমে এই পার্ক গড়ে তোলা হবে বলে স্থানীয় জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান। কিন্তু গত আগস্টে সেই তারকাঁটার বেড়া ভেঙে ১৫শ বর্গফুটের একটি পাকা ভবন নির্মাণ শুরু করে ছাত্রলীগ নেতা আসাদুল ইসলাম রাজু। এজন্য মাটি কেটে দেওয়াল নির্মাণের কাজ চালায়।পরে স্থানীয়রা বাধা দিলে সংবাদ প্রকাশের পর কাজ বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।

তবে দুই মাস যেতে না যেতেই ফের পার্কের অপর প্রান্তে খুঁটি গারতে শুরু করেছেন ছাত্রলীগ নেতা রাজু।পার্কের সীমানার তারকাঁটার বেড়া কেটে এ দখলদারিত্ব শুরু করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাহেবগঞ্জ এলাকার কয়েকজন অভিভাবক জানান, ভেবেছিলাম বাড়ির কাছে একটি শিশুপার্ক হলে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলার সুযোগ পাবে।কিন্তু এখন দেখি সেই জমি দখল করে নিয়েছে ছাত্রলীগের রাজু। পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই পার্কটির অবস্থান হওয়ার পরও এই দখলদারিত্ব নিয়ে যেন কারও মাথাব্যথা নেই।সবাই যেন চোখ বুজে আছে। স্থানীয়রাও কিছু বলতে পারছে না ওই ছাত্রলীগ নেতার ভয়ে। এর আগেও এ জমি একবার দখল করার চেষ্টা করেছিল রাজু।

তবে তখন বিভিন্ন বাধার কারণে দখল করতে পারেনি। এখন নতুন করে দখল করছে পার্কটি।তবে ছাত্রলীগ নেতা রাজু জানান, গতবার প্রশাসন বাধা দেওয়ার পর আমি কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এখন আমার বাড়ির নির্মাণ কাজ চলছে, তাই ইট-বালু রাখা হয়েছে ওই পার্কে। সেটা আমি রাখতেই পারি। পার্কটির ১৫ গজ দূরেই আমার বাড়ি। এতে মানুষের সমস্যা হওয়ার কোনো কারণ নেই।বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুল আলম চুন্নু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। গতবারও শুনেছিলাম। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি। আর এসব কর্মকাণ্ডে খোদ আওয়ামী লীগ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাধবী রায় বলেন, গতবার দখলের বিষয়ে এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ দিয়েছিলেন।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমি কানুনগো পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। এখন আবার নতুন করে কিছু করছে কিনা তা আমার জানা নেই। আমি লোক পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আপনার মতামত লিখুন :