তজুমদ্দিনে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজ আমন ধানের সমারোহ
তজুমদ্দিন প্রতিনিধিঃ দুচোখের দৃষ্টি যতদূর যায় সর্বত্রই বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে বাতাসে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো ছোট ছোট ঢেউ তুলছে কৃষকের স্বপ্ন সবুজ ধানের সমারোহ। ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চলতি মৌসুমে হাড়ভাঙা পরিশ্রমে উৎপাদিত ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা।উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় রোপা আমন ধানের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৮শত হেক্টর।
লক্ষমাত্রার চেয়ে এ বছর উপজেলায় দুইশ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ কম হয়েছে। ২শত হেক্টর কম আমন আবাদের কারণে হিসেবে কৃষি অফিস বলছে চাষিরা শীতকালীন সবজি চাষের করার জন্য অনাবাদী রাখা হয়েছে।সার,বীজ, কৃটনাশক, জমি প্রস্তুত ও বিবিধ পণ্যের দাম বেশি থাকায় উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে চাষিদের। ধান কাটা পর্যন্ত আবহাওয়া সুন্দর ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ না হলে এবং ধানের বাজার দর ভালো থাকলে চাষে লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।
এবছর রোপা আমনে দুইটি নতুন জাতের ব্রি ধান ৮৭ ও বিনা ধান ১৭ কৃষকের হাতে তুলে দেয় উপজেলা কৃষি অফিস। অপরদিকে নতুন ধানের জাত দুইটির তুলনা মূলক জীবনকাল কম হওয়ায় রবিশষ্য দ্রুত সময়ে করতে পারছেন কৃষকরা। নতুন ধান দুটিসহ উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় আশা করা যায় উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ৪৬ হাজার ৮শত মেঃটঃ অর্জিত হবে।জানতে চাইলে চাঁদপুর ইউনিয়নের কৃষক আঃ শহিদ বলেন, এ বছর করোনার কারণে সার, বীজ ও কীটনাশক একটু বেশি দামেই কিনতে হয়েছে।
আমার ৩ একর জমিতে চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।ধান কাটার আগ পর্যন্ত দূর্যোগের কবলে আক্রান্ত না হলে ও ধানের বাজার দাম ভালো থাকলে আশা করি ১ লক্ষ টাকার ধান বিক্রি করতে পারবো।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বলেন, মাঠে এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগের ক্ষতি না হলে আশা করা যায় লক্ষমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হবে। ধানের বাজার ভালো থাকলে কৃষক লাভবান হবে।