ফের উত্তপ্ত পটুয়াখালী
দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১,আহত ২০জন

পটুয়াখালী ও বাউফল প্রতিনিধিঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে হামলা সংঘর্ষে একজন খুন, ২০ জন আহতসহ বসতবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত।জানা গেছে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মজনু মোল্লার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চালক মাসুদ ব্যাপারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার রাতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। শনিবার সকালে ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের গনি সিকদারের বাড়ির রাস্তার পাশে মাসুদের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। মাসুদ ৩নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল লতিফ ব্যপারীর ছেলে।প্রার্থী মজনু মোল্লা বলেন, গত রাতে আমরা পটুয়াখালী থেকে বড় বিঘাই আসি এবং মাসুদ রাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছত্তার হাওলাদার এবং রাহাত মাঝিকে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। ফেরার পথে তাকে হত্যা করা হয়েছে।পটুয়াখালী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে।এদিকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাস (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদা হাওলাদারের (ঘোড়া) সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতায় ২০ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বসতঘর।শনিবার ১০টার দিকে ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নওমালা গ্রামের কালাম চৌকিদার বাড়ির দক্ষিণ পাশে দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংর্ঘষে দুইপক্ষের ২০ জন আহত হয়।
এদের মধ্যে ১১ জনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।এর আগে শুক্রবার রতে শাহাজাদার সমর্থক ওই ইউপির ১নম্বর ওয়ার্ডের রেজাউল চৌকিদারের (২৮) ঘর কুপিয়ে ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষরা। অপরদিকে ওই রাতে ৪নম্বর ওয়ার্ডের নৌকার সমর্থক সোহরাব সিকদার ও নুরু সিকদারের দোকান ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষরা এবং ওই রাতেই একই ওয়ার্ডের ঘোড়া সমর্থক আফজাল মজুমদারের ঘর ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষরা।