তজুমদ্দিনে গরু ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ আহত-১২
তজুমদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলার তজুমদ্দিনে গরু ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলার উভয় পক্ষের ১২জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।হাসপাতাল ও আহত সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গোলকপুর গ্রামের অর্সিনী পন্ডিত বাড়ীর নুর হোসেন মাঝি তার গরুর জন্য ঘাস কেটে রাখেন।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে একই বাড়ীর জসিমের গরু ঘাস খেয়ে ফেলে।পরে নুর হোসেন মাঝি ঘাস খাওয়ার বিষয়ে জসিমকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে নুর হোসেন পক্ষ ও জসিম পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়। আহতদের ৬জনকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতরা হলেন, ইউনুস (৩৫), জসিম (৪৫), সোহেল (৩০), পারভীন (৪০), মহসিন (৪০) ও তাছলিমা (৪০)।
উভয় পক্ষ হাসপাতালের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ করেন।জানতে চাইলে নুর হোসেন মাঝির ভাগিনা আহত সোহেল জানান, জসিমের গরু আমার মামা নুর হোসেন মাঝির কেটে রাখা ঘাস খেয়ে ফেলে। পরে মামায় বিষয়টি জসিমকে জিজ্ঞেস করতে গেলে জসিমের নেতৃত্বে মহসিন, তানজিল ও তাছলিমাসহ কয়েকজন মিলে হামলা করে মারপিট করে এবং তার মুখের দাড়ি ছিড়ে ফেলে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে জসিম পক্ষ হাসপাতালে এসে আমাদের উপর হামলা চালায়।জসিম গ্রুপের জরিনা বেগম জানান, আমাদের গরু নুর হোসেন মাঝি ঘাস খেয়ে ফেললে। এ সময় তিনি গালিগালাজ করলে আমরা গালিগালাজ করতে নিষেধ করি। একপর্যায়ে নুরহোসেন মাঝির নেতৃত্বে পারভীন, রুমা, সুমা ও ফাতেমা মিলে আমাদের উপর হামলা চালায়।
পরে আমরা হাসপাতালে আসলে ইউনুসের নেতৃত্বে আবারও হাসপাতালের মধ্যে হামলা চালায়। এঘটনায় উভয় পক্ষ তজুমদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জিয়াউল হক বলেন, মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।