বরিশাল বিএম কলেজে হল ‘ফি’ বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল সরকারী বজ্রমোহন (বিএম কলেজ) এর বসবাসরত সকল হোস্টেলগুলো দ্রুত সংস্কার,শিক্ষার্থীদের হোস্টেলের পুকুরগুলো হোস্টেলের নামে পুনরায় বরাদ্ধ করা, এবং করোনাকালিন সময়ের পর রহস্যজনকভাবে হোস্টেল ফি বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে কলেজ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সভা শেষে ১১ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে অধ্যাক্ষ বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করে। মঙ্গলবার (২ই) নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় বিএম কলেজ অভ্যন্তরে থাকা বিভিন্ন আবাসিক হোস্টেলের কয়েকশত বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বেড় করে।
মিছিলটি কলেজের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়ে তাদের দাবী আদায়ের লক্ষে সংক্ষিপ্ত পথ সভা করে পুনরায় মিছিল বেড় করে মিছিল পুরো কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে কলেজের ফাস্ট গেট হয়ে নতুন বাজার-কেন্দ্রীয় নতথুল্লাবাদ বাস টারমিনাল সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।এসময় শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা মোকাবেলা করা বিক্ষোভ মিছিল নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থী আবু রায়হান বলেন, অতিদ্রুত হোষ্টেল ফি বৃদ্ধি করা বাতিল করা সহ হলগুলোকে শিক্ষার্থীদের বসবাসযোগী করা,ঝুকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার করা,শিক্ষার্থীদের ডায়েনিং ব্যবস্থা করা,হলের প্রাচির দেয়াল নির্মাণ করার মাধ্যমে বহিরাগতদের প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা সহ ১১ দফা দাবী বাস্তবায়ন পুরন করা না হলে তারা কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে হুসিয়ারী উচ্চরন করেন।
এসময় তারা বলেন এই আন্দোলন করতে গিয়ে যাদি তাদের পুলিশি হয়রানি সহ জেলে-জুলুমের শিকার হতে হয় তাহলেও তারা দাবী পুরন না হওয়া পর্যন্ত হলে ও ক্লাসে ফিরবেন না।পরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে কলেজ প্রফেসর ড.মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া অধ্যাক্ষ বরাবর দাবী পুরনের জন্য স্বারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।স্বারকলিপি গ্রহনকালে অধ্যাক্ষ মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করে এবং তাদের সকল সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য টেবিলে বসার আমন্ত্রন জানান।এসময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বলেন তোমাদের দাবীর সব কিছু কলেজ প্রশাসনের হাতে নেই। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেই সমাধানের চেষ্টা করতে হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্থ করেন।বিক্ষোভে দাবী আদায়ের আন্দোলনে বিভিন্ন হলের শিক্ষাথী দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আসাদুল হক করীম,ফয়সাল হোসেন,তানজিল,তপু রায়হান,সুমন ডাকুয়া,তাওহিদ ও আশিষ সহ বিভিন্ন শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য ধান নদী খালের বরিশালের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত শেরে বাংলা একে ফজলুল হক,কবি জীবনানন্দ দাস, মনোরমা বসু মাসিমা, শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত সহ হাজারোও গুনিজনের স্মৃর্তি বিজরিত মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের প্রতিষ্ঠিত সত্য,প্রেম,পবিত্রতার মহান আদর্শে লালিত,তাল,তমাল,কৃষ্ণচূড়া,রাধাচূড়া সুশোভিত ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপিঠ এক সময়ের অক্সফোর্ড অব বেঙ্গলখ্যাত, ১৩২ বছরের সরকারী বজ্রমোহন কলেজ এক বৃন্ধের প্রতিচ্ছবি।বর্তমানে ৬টি আবাসিক হোস্টেলের ১২’শ আসনের বিপরিতে প্রায় দ্বিগুন শিক্ষার্থীদের শত কষ্টের মধ্যে অবস্থান করতে হচ্ছে। এছাড়া ৬টি হোস্টেলের মধ্যে ৪টি ভবন বাদে বাকিগুলোতে বসবাস করা অনপোযোগী হয়ে পড়েছে।