উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ মহাশ্মশানে দীপাবলি উৎসব আজ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ মহাশ্মশানে ২০০ বছর ধরে দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। প্রতিবছর কালীপূজার আগের দিন ভূত চতুর্দশীর পুণ্য তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রয়াত স্বজনের সমাধিতে দ্বীপ জ্বেলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেই হিসাবে আজ বুধবার ১৭০তম দীপাবলি উৎসব বরিশাল নগরীর কাউনিয়ায় অবস্থিত এই মহাশ্মশানে দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।সুষ্ঠুভাবে এ উৎসব উদযাপনে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির নেতারা।
এ বছর সংক্ষিপ্ত পরিসরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দীপাবলি উৎসব উদযাপন হবে। করোনার কারণে গত দুই বছর দীপাবলি উৎসবে মহাশ্মশানে আলোকসজ্জা, তোরণ নির্মাণ এবং মেলার আয়োজন ছিল না। এবারও তোরণ নির্মাণ ও মেলা হবে না। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় প্রায় ছয় একরের মহাশ্মশান এলাকা আলোকমালায় সজ্জিত করা হবে। আজ সন্ধ্যায় আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে বরিশাল মহাশ্মশান। উৎসব উপলক্ষে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় এই মহাশ্মশানে।বরিশাল মহাশ্মশানে আছে কবি জীবনানন্দ দাশের বাবা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত, পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, মনোরমা বসু মাসিমাসহ বহু খ্যাতিমান মানুষের সমাধি। কাঁচা-পাকা মিলিয়ে প্রায় ৬৫ হাজার সমাধি রয়েছে এখানে।
বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, বরিশাল মহাশ্মশানে এ বছরও দীপাবলি উৎসব পালিত হবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে। মেলা এবং তোরণ নির্মাণ করা হবে না। তবে আলোকসজ্জা করা হবে। তিনি বলেন, সবাইকে মহাশ্মশানে প্রবেশ করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি গোপাল সাহা বলেন, উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দীপাবলি উৎসব শুধু বরিশাল মহাশ্মশানেই হয়ে থাকে। ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ এখানে আসেন প্রয়াত স্বজনের স্মরণে।
দীপাবলি উৎসবের নিরাপত্তা বিষয়ে বরিশাল মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, শ্মশান রক্ষা কমিটির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুরো মহাশ্মশান এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।