বাউফলে আ.লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি

বাউফলে আ.লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাস এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা হাওলাদারের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আজ সোমবার দুপুরে নওমালা ইউনিয়নের নগরের হাট এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার জন্য এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দায়ী করছেন।
এর আগে গত শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নওমালা কলেজ সড়কের সাহা গাজীর বাড়ির সামনে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ওই সময় শাহাজাদা হাওলাদারের কর্মী মো. সজীব (২০) কামাল হোসেনের পক্ষের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর শরীর থেকে গুলি বের করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাজাদা হাওলাদারের নগরের হাট বাসভবনে ও দোকানে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ঘোড়ার কর্মী-সমর্থকেরা ছুটে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও কয়েক রাউণ্ড গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ বিষয়ে নৌকার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামাল হোসেন বলেন, বেলা ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগের কয়েক নেতা-কর্মী ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন ডাক্তার বাড়িতে গনসংযোগ করতে যান। তখন ঘোড়া পক্ষের সন্ত্রাসীরা তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঞ্চিত করে। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নগরের হাট এলাকায় একই সন্ত্রাসীরা তাঁর নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় এবং ঘোড়ার কর্মী মিজান (৩৫) তাঁর নেতা-কর্মীদের লক্ষ করে কয়েক রাউণ্ড গুলি ছোড়ে। শাহাজাদা হাওলাদারের বাসায় কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা তিনি জানেন না বলেও দাবি করেন।
শাহজাদা হাওলাদার বলেন,‘আমার কর্মী সজীবকে কামাল হোসেনের সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। আজকেও (সোমবার) তাঁর (কামাল হোসেন) সন্ত্রাসীরা আমার বাসভবনে হামলা চালিয়েছে এবং গুলি করেছে।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সংঘর্ষ ও গুলি ছোড়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,‘দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তিন-চার রাউণ্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য তিন রাউণ্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। যাঁরা গুলি ছুড়েছে তাঁদেরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’