প্রজনন মৌসুম শেষ তবুও জালে পড়ছে ডিমওয়ালা ইলিশ!

অনলাইন ডেস্কঃ ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে দক্ষিণাঞ্চলের নদী-সাগরে ধরা পড়ছে ডিমওয়ালা ইলিশ। জেলেদের জালে মিলছে জাটকাও। বরিশালের বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে এসব ডিমওয়ালা ইলিশ ও জাটকা। ফলে ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষায় সরকার নিষেধাজ্ঞার যে সময়সীমা ঠিক করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মা ইলিশ রক্ষায় সময়সীমা আরও বৃদ্ধি করা উচিত ছিল।
তবে জেলেরা বলছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে নিষেধাজ্ঞার সময় নির্ধারণ করায় এখনও ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মা ইলিশ ডিম ছেড়ে সাগরে চলে গেছে। যে মাছগুলো ডিম ছাড়েনি তা নদীতে অবস্থান করছে। তাই নদী থেকে আহরণ করা মাছে ডিম থাকা স্বাভাবিক। কয়েকদিন পর থেকে জাটকা নিধন রোধে কঠোর অভিযান চালানো হবে। ফলে ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আবদুর রহমান নামের এক জেলে বলছেন, মা ইলিশ রক্ষার অভিযানের সময়সীমা প্রকৃত জেলেদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করেই নির্ধারণ করা হয়।
আমরা নদীতে থাকি তাই কখন মা ইলিশের পেটে ডিম থাকে তা জেলেরাই ভালো বলতে পারে। মাছ বিক্রেতা মোহাম্মদ মাসুদ জানান, বর্তমানে বাজারে জাটকা ও ডিমওয়ালা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। জাটকায় বছরজুড়ে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তা প্রকাশ্যে বিক্রির সুযোগ নেই। এছাড়া প্রতিবছরই এই সময়ে ধরা পড়া বড় সাইজের মাছে ডিম পাওয়া যায়।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, এই সময়ে মা ইলিশ ডিম ছেড়ে সাগরে চলে গেলেও কিছু মাছ এখনও ডিম না ছাড়ায় নদীতে অবস্থান করছে। ফলে নদী থেকে আরহণ করা মাছের পেটে ডিম পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া সারা বছরই কমবেশি ডিমওয়ালা ইলিশ পাওয়া যায়। আশা করা যায় যে, ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে সংখ্যক ডিমের দরকার তা পূরণ হয়েছে। মূলত চারটি অমাবস্যা-পূর্ণিমাতে ইলিশ বেশি সংখ্যক ডিম দেয়।
সেই সময়টা আমরা ইলিশ আহরণ বন্ধ রেখেছি। ফলে এখন ডিমওয়ালা মাছ ধরা পড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তা কোনো প্রভাব ফেলবে না। ইলিশ কম ধরা পড়ার ব্যাপারে এ মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে যে আবহাওয়া রয়েছে তাতে নদী ও সাগরে ইলিশ পাওয়ার কথা। জাটকা ধরা পড়ার বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত জাটকা ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জেলেসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নিষেধাজ্ঞার দিন নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাই সেই সময় কঠোরভাবে অভিযান চালানো হবে।