বাবুগঞ্জে সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন বসত-ভিটা ও মসজিদ
আরিফ হোসেন, বাবুগঞ্জ ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামে (বরিশাল এয়ারপোর্ট রানওয়ের উত্তর মাথায়) ৫ ঘন্টার ভাঙনে ৫টি বসত ভিটা, একটি মসজিদ ও ঐতিহ্যবাহী একটি ঈদগাহ ময়দান সুগন্ধা নদীর ভাঙন কবলে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে ভাঙনের ১৫০গজ দূরে থাকা বরিশাল এয়ারপোর্ট রানওয়ে ও ৫০টির অধিক বাড়ি-ঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
রবিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সুগন্ধার তীব্র ভাঙনে উল্লেখিত ক্ষতি সাধিত হয়। এখনও ভাঙন অব্যাহত থাকায় আতংকিত হয়ে পরেছে এলাকাবাসী। সরেজমিনে দেখাযায়, স্থানীয়দের সহায়তায় নদী পাড়ের ঘর-বাড়ি ও গাছ-পালা অনত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।ভাঙনের তীব্রতা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিদ্রুতই সুগন্ধার গ্রাস এয়ারপোর্ট সীমানার দিকে এগোচ্ছে। মানুষ দিক-বিদিক ছুটাছুটি করছে। হুমকিরমূখে পরা ঘরবাড়ি আসবাবপত্র অনত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।খবর পেয়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আমীনুল ইসলাম।
তিনি তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসনকে ভাঙন পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থা জানিয়ে স্থানীয়দের অভয় দিয়ে বলেন, নদী ভাঙন রোধে আমরা জরুরী ভিত্তিতে উর্দ্ধতনদের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবো এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সকল ধরনের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রাথমিক ভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোলাম হোসেন, সাধারন সম্পাদক মো. শাহিন হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বাবুগঞ্জ সাধারন সম্পাদক মো. শাহিন হোসেন জানায়, দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে বরিশাল এয়ারপোর্ট রানওয়ের উত্তর মাথাসহ ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামটি অচিরেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এখানে জরুরী ভিত্তিতে নদী শাসনের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবী।ভাঙণে ঘর-বাড়ি ও জমি হারিয়ে নিঃস্ব প্রায় ওই গ্রামের ইদ্রিস বেপারি, সিদ্দিক বেপারি, ওমর আলী, খলিল হাওলাদার, বজলু হাওলাদার । এছাড়া পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠী জামে মসজিদ ও ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ময়দান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।