বরিশালে নিত্যপন্যের বাজারে নতুন করে অস্বস্তি বাড়ালো মৌসুমী সবজি!

এইচ আর হীরাঃ মৌসুম না এলেও বাজারে উঠেছে শীতের বেশ কিছু সবজি। এরমধ্যে রয়েছে টমেটো, শিম, ফুলকপি, গাজর।কিন্তু দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে অস্বস্তি কাটছে না সাধারণ মানুষের। সয়াবিন, চাল, সবজি ও মুরগি বেশ কিছু দিন ধরে নিম্ন আয়ের মানুষদের ভোগাচ্ছে। এরমধ্যে আবারও বেড়েছে চাল, চিনি, মুরগি, সয়াবিন তেলসহ আরও কিছু নিত্যপণ্যের দামও।বাজারের তথ্য বলছে, নতুন করে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকার মতো।
এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে নতুন করে চিকন চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতিলিটারে বেড়েছে ৫ টাকার বেশি। একইভাবে ১ লিটার ওজনের বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েলের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ টাকা।শনিবার (২২ অক্টোবর) নগরীর বাংলা বাজার, চৌমাথা, বড় বাজার, সাগরদী বাজার, নথুল্লাবাদ নৈশ বাজার, পোর্ট রোড,নতুন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম চাওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা প্রতিকেজি, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা। এই দাম শীঘ্রই কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
গরু ও খাসির মাংসের কেজিপ্রতি দাম আগের সপ্তাহের মতোই যথাক্রমে ৬৫০ এবং এক হাজার টাকা।নগরীর নথুল্লাবাদ নৈশ বাজার ঘুরে দেখা যায়, শিমের দাম কেজিতে এখনো ১০০ টাকার আশেপাশে, টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। ফুলকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, করলা ও পটোল ৬০ টাকায়।নথুল্লাবাদের কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী মন্টি হাওলাদার বলেন, শীতের মৌসুম মাত্র শুরু হচ্ছে।বাজারে এখন কিছু কিছু শীতের সবজি আসতে শুরু করেছে।মৌসুমের প্রথম দিকে একটু দাম বেশিই থাকে। দুই এক সপ্তাহ পরে দাম অনেকটা ক্রেতাদের হাতের নাগালে এসে যাবে। তিনি আরও বলেন, বাজারে সবজির যে পরিমাণ চাহিদা, সরবরাহ তার থেকে কম।
এ কারণেই এখন দাম একটু বাড়তি।গত সপ্তাহের দামই এখনই ধরে আছে মাছবাজার। এক কেজি থেকে ১ হাজার ২০০ গ্রাম ওজনের রুইমাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে। দেড় কেজির আশপাশের বোয়াল মাছের কেজি চাওয়া হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। কাতল মাছ ৪০০ টাকা। এমনকি ছোট আকারের পাঙ্গাস মাছের দামও দুইশ ছুঁই ছুঁই।জিয়া সড়ক এলাকার বেসরকারি চাকরিজীবী মোঃ আজম খান বলেন, শীতের সবজির দাম কেন বেশি বুঝলাম না। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই সবজি তোলা শুরু হয়ে গেছে, বাজারেও আছে। তবুও দাম কমছে না।নথুল্লাবাদ বাজারের মুরগির ব্যবসায়ী তুহিন বলেন, মুরগির সরবরাহ এখনো কম থাকায় দাম বেশি। সাপ্লাই কবে বাড়বে তা বলা যাচ্ছে না।এরকম হয়তো আরও এক থেকে দেড় সপ্তাহ চলবে।