সিস্টেমে চলে ১০ হাজার অবৈধ অটো

সিস্টেমে চলে ১০ হাজার অবৈধ অটো
নগরীতে অবৈধভাবে চলছে প্রায় ১০ হাজার ব্যাটারি চালিত হলুদ অটো। নতুন করে রাস্তায় নামতে রূপাতলী ওয়ার্কশপে প্রস্তুত হচ্ছে আরো অর্ধশত অটো। প্রায় দুই বছর আগে ২ হাজার ৬১০ টি হলুদ অটোর অনুমোদন দেয় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। এর পর থেকে নতুন করে আর কোন অটোর নবায়ন করা হয়নি। বন্ধ রয়েছে অনুমোদন। কিন্তু অনুমোদন না মিললেও সেই হলুদ অটোর সংখ্যা এখন প্রায় ১০ হাজার।
নগরীর রাস্তায় অবৈধ এসব অটো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা । যেন দেখার নেউ নেই। সিটি কর্পোরেশন বলছে এসব অবৈধ অটো দেখার দায়িত্ব ট্রাফিক বিভাগের। ওদিকে ট্রাফিক বিভাগ বলছে এটা দেখার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। দায় নিচ্ছেনা কেউ। প্রশ্ন উঠেছে কারা নিয়ন্ত্রণ করে ১০ হাজার ব্যাটারি চালিত হলুদ অটো।
সরেজমিনে দেখা যায় নগরীর রূপাতলী বাসস্টান্ডের উজ্জ্বল দাস ,সংঙ্কর চন্দ্র দাস, শেখর,দাস কাওছার, , রাসেল, সুমন মোল্লার ওয়ার্কশপে নতুন করে হলুদ অটো তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মিস্ত্রিরা। রাস্তায় নামার জন্য প্রস্তুত ১৫ টি অটো।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ার্কশপের কয়েকজন মালিক বলেন, সিস্টেমে চলে এসব অটো। প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয় এই অটো তৈরিতে। কোন টোকেন নাই, বিট নাই যে যার মত চলতেছে। তাই আমরাও নতুন অটো তৈরি করি।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, হলুদ অটো নিয়ে ঝামেলা আছে। দুই বছর আগে ২ হাজার ৬১০টি হলুদ অটো নবায়ন করা হয়েছিল এরপর আর কোন অটোর অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কিন্তু বর্তমানে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার অটো চলে এগুলো সবই অবৈধ। সিটি করপোরেশন অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করেছে এটা এখন ট্রাফিক বিভাগ দেখব। অবৈধ অটো রাখবে কি রাখবে না সেটাও তারা দেখবে।
ডিসি ট্রাফিক এসএম তানভীর আহমেদ জানান, এই গাড়িগুলো সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চলে। প্রতিদিনই ১০ থেকে ২০ টা গাড়ি ধরা হচ্ছে। বিভিন্ন আইনে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। গাড়ির অনুমোদন দেওয়া না দেওয়া এটা সিটি কর্পোরেশনের কাজ। আমাদের নয়। পুলিশের একার পক্ষে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সারা দেশের প্রতিটি জেলায় এরকম অবৈধ গাড়ি রয়েছে। আর কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এর সুযোগ নিচ্ছেন। যেসব ওয়ার্কশপে গাড়ি তৈরি হচ্ছে সে ব্যাপারে আমরা অবগত হয়েছি এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় কে অবহিত করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ছাড়া ওয়ার্কশপে অবৈধ গাড়ি তৈরি বন্ধ করা যাবে না। তাই জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।
বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আতিকুল আলম জানান, হলুদ অটোগুলোর অনুমোদন দেওয়া, বন্ধ করা সব সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। তারা দেখো ভালো করে, তারা অনুমোদন দেবে তারা তদারকি করবে। এটা দেখার বা তদারকি করার বা অনুমোদন দেয়ার কোন এখতিয়ার আমাদের নেই।