: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ‘মিশু ফিলিং স্টেশন’ পাম্পে তেলের সাথে পানি মিশিয়ে বিক্রি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে। এ ঘটনায় ওই পাম্পের তেল সংরক্ষন করে পরিক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুর রহমান। পরবর্তীতে ওই পাম্পের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী আলফার ড্রাইভার মোঃ রাসেল বলেন, পটুয়াখালী থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। এ সময় বরিশাল আসার পথে তেল কম থাকায় বাকেরগঞ্জ পৌরসভার রুহিতারপাড় এলাকার ‘মিশু ফিলিং স্টেশন’ নামক পাম্প থেকে ৫শত টাকার ডিজেল তেল ট্যাংকিতে লোড করি। কিন্তু ডিজেল লোড করার পরে আর ইঞ্জিন চালু হচ্ছে না। আমরা অনেক চেষ্টা করে ব্যার্থ হই। পরবর্তীতে গাড়ী সারানোর জন্য গ্যারেজে গেলে জানতে পারি যে তেলের ভিতর পানি মিশ্রিত আছে। বিষয়টি শুনে আমার সন্দেহ হলে আমি মিশু ফিলিং স্টেশন পাম্পে গিয়ে বোতলে তেল ভরাট করে দেখতে পাই পাঁচ লিটার তেলের সাথে অধিকাংশ পানি মিশ্রিত আছে। আমি বিষয়টি দেখে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের ফোন দেই। অবস্থা বেগতিক দেখে আমাকে এক হাজার টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার জন্য চেষ্টা করে।
স্থানীয় আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, রাজিয়া এন্টারপ্রাইজের বরিশাল মেট্রো ড-৪১-০০২০ নামের একটি গাড়ি প্রায়ই রাতে ঢাকার একটি সুনামধন্য গ্যাস কোম্পানির কাছ থেকে অপরিসীত নেপতা নামক একটা তেল মিশু ফিলিং পাম্পের ট্যাংকি লোড করে। লোড করার সময় দুর্গন্ধে পাশে থাকা অসম্ভব। দুর্গন্ধের কারণে শাস প্রশাসে কোমল মতি বাচ্চাদের সমস্যা হয়। আমরা এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, মিশু ফিলিং স্টেশন পাম্পে ডিজেল তেলে ভেজালের কারণে বিভিন্ন সরকারি ও যাত্রীবাহি গাড়ি নষ্ট হচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা মিশু ফিলিং স্টেশন থেকে ডিজেল তেলে পানি মিশ্রিত করে বিক্রির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছি। সেখান থেকে চার লিটার তেল পরিক্ষার জন্য নিয়েছি। এদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’’
মিশু ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী মোঃ আলাউদ্দিন আলো বলেন, বিষয়টি শুনে আমি ম্যানেজারকে এক হাজার টাকা দিতে বলছি। পরবর্তীতে আলফা ড্রাইভার পাম্পে গিয়ে প্রশাসন নিয়ে এ ধরণের কাজ করাটা ঠিক হয়নি। আমাকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান ফোন দিয়েছিলো। তার সাথে কথা বলছি সে আমাকে তার অফিসে ডেকেছে।