ধর্ষণের ভয়াবহ রূপ বরিশাল বিভাগে!

ধর্ষণ ধীরে ধীরে যেনো এক মহামারি আকার ধারণ করছে। সাথে বাড়ছে ভয়ঙ্কর সব অপরাধ কর্মকাণ্ড। সাম্প্রতিক সময়ে মাদক সেবন, চুরি, ছিনতাই এমনকি হত্যার মত জঘন্য সব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বরিশালসহ এ বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়। পাশাপাশি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ধর্ষণ-গণধর্ষণের ঘটনাও। এই ন্যাক্কারজনক অপরাধে জড়াচ্ছে কিশোর, তরুণ, যুবক এমনকি বৃদ্ধরাও। নীতি-নৈতিকতার বিসর্জন, সামাজিক অবক্ষ্যয় ও সঠিক শিক্ষার অভাব এ অপরাধের মূল কারণ বলে মনে করেন সচেতন মহলের ব্যক্তিরা। এর মধ্যে পর্ণ (নিল ছবি) আশক্তিও অন্যতম। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় বিভিন্ন উঠতি বয়সী তরুনরাও এ প্রযুক্তির অপব্যবহারে মাধ্যমে এসব কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে গত এক মাসে বরিশাল বিভাগে অন্তত ১৪ জন নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৭ থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধা নারী ও ছোট্ট শিশু রয়েছে। আর এসব কর্মকাণ্ডে তরুণরা ছাড়াও জড়িয়েছেন, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, ঘটক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাও ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে।
এসব ঘটনার মধ্যে বরগুনা জেলা উল্যেখযোগ্য। এ জেলার বেতাগীতে সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে ৫০ বছর বয়সী এক বাড়িওয়ালীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ভাড়াটিয়া এক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এছাড়া বরগুনা সদর উপজেলায় কয়েকদিন আগে আপন শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করার মত ভয়ঙ্কর ঘটনাও ঘটেছে। যদিও ঐ শ্যালীকা ধর্ষণের শিকার হয়নি বলে জানা গেছে। তবে এর জেরে প্রাণ দিতে হয়েছে দুটি শিশুকে।
বরগুনার তালতলীর মঠখোলা এলাকার অপর আরেকটি ঘটনায় স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যে বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা একটি মামলা দায়েরও করেন। এ মামলায় ইউপি সদস্য আদালতে হাজিরা দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। জামিনে বের হয়ে ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ঐ ধর্ষিতাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দেয়। এতে মামলা তুলে না নেয়ায় ঐ ধর্ষিতার দুই পা ভেঙে দেয়া হয়। এদিকে বরিশালের মধ্যে গত ৩১ জুলাই রাতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা শাশুড়িকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তপু তালুকদার নামের হাসপাতালটির এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। যিনি ঐ নারীর মেয়ের জামাই। ধর্ষণের শিকার ওই বৃদ্ধাকে তখন হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছিলো। জানা গেছে, তপু তালুকদার স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে কোয়ার্টারে থাকতেন। স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে তপু স্ত্রীকে মারধর করেন। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। ওসিসির দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য এসআই ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ভুক্তভোগীর বর্ণনা অনুযায়ী তপু সিকদারের স্ত্রীকে মারধর করায় স্ত্রী ওসিসিতে ভর্তি হন। ওদিকে তাদের ছেলে-মেয়েদের দেখাশোনা করার জন্য বাসায় আসেন তপু সিকদারের শাশুড়ি। কিন্তু তাকে রাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করেন তপু সিকদার। সকালে জ্ঞান ফিরলে বৃদ্ধা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে তপু আবারও তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ওইদিন রাত ১০টার দিকে বৃদ্ধা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এছাড়া বরিশালে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে তার প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার সাবেক স্ত্রী ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। জানা গেছে তার স্ত্রীকে গোপনে আগেই তালাক দেয় স্বামী, কিন্তু এর পরও প্রায় বেশ কয়েক মাস ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তার স্ত্রীর দাবি, যেহেতু তিনি আমাকে না জানিয়ে তালাক দিয়েছেন এবং আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, সে হিসেবে আমি মনে করি আমার সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তালাকের কথা গোপন রাখার অভিযোগ এনে ঐ নারী স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এর আগে বরিশালের এক তরুণ রাজধানীর এক তরুণীকে একটি বাসার ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনায় অভিযুক্ত মাহাদী হাসান জারিফ নামের অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর পর ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরে বাক্প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (২০) গণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঐ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী তাঁর বড় বোনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য নিজ বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র চাকুর মুখে জিম্মি করে পথ থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি কলাবানে নিয়ে তরণীকে ধর্ষণ করে।
এদিকে উজিরপুরে অশ্লীল ছবি ভাইরালের হুমকি দিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে এক ছাত্রদল নেতা। উপজেলার উত্তর সাতলা পটিবাড়ী গ্রামের ছাত্রদল নেতা রাফিন খন্দকার রাহাত (২৪) ওই এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কৌশলে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ৬ জুলাই অভিযুক্ত’র বিরুদ্ধে বরিশাল আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ঔ নারী।
এছাড়াও ঝালকাঠির নলছিটিতে ১৯ বছর বয়সী এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে হাবিব হাওলাদার (৫০) নামের একজনকে আটক করেছে র্যাব সদস্যরা। হাবিব হাওলাদার নলছিটি উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের কুশঙ্গল গ্রামের এসকেন হাওলাদারের ছেলে।
এদিকে বরিশালের বন্দর থানার সিংহেরকাঠি গ্রামের ৩৬ বছরের যুবতীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ৩৬ বছরের যুবতী রাজাপুর গ্রামের দক্ষিণ সাতপুরার গ্রামের হাওলাদার বাড়ীর মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে বিয়ের কথা বার্তা বলার জন্য রফিকুল ইসলাম ঐ নারীর বাড়ীতে আসে। রাত্রে তাকে ঘরের বারান্দায় ঘুমাতে দেয়া হয়। এ সুযোগে গভীর রাতে মাঝখানের দরজা খোলা থাকায় সুযোগ পেয়ে ঐ নারীর কাছে যায় এবং বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। এরপর বিয়ের করতে অস্বীকৃতি জানালে ঐ নারী আদালতে হাজির হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
আরেক জেলা পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় গৃহবধূকে অপহরণের পর দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মো. আসলাম চৌধুরী বাবু নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী কেনাকাটার জন্য গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাবুর সহযোগী জিসান সেই গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তালপুকুরিয়া রোডের একটি ঘেরের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে তিনজন এবং আরো দুইজন সহ মোট ৫ জন ঐ গৃহবধূকে পালাক্রমে রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ধর্ষণ করে লিংক রোড এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ নিজ বাড়িতে গিয়ে আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে ঝালকাঠির রাজাপুরে ঘটকের ধর্ষণে নববধূ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেই ঘটককে গ্রেফতারও করেছে র্যাব-৮। জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের চাড়াখালি এলাকায় বিয়ের তিনদিন আগে হালিম সিকদার (৪৫) নামে এক ঘটকের ধর্ষণে ১৫ বছর বয়সী কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা য়েছেন। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় ঘটক হালিম সিকদারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগীর নানা। মামলার পর থেকেই হালিম সিকদার পলাতক ছিলেন। এরপর র্যাব- ৮ এর একটি দল হালিম সিকদারকে গ্রেফতার করে।
এদিকে উজিরপুরে ২৪ বছরের এক যুবতীকে ধর্ষণ করায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জানা গেছে উজিরপুরের বামরাইল গ্রামের ২৪ বছরের যুবতী গৌরনদীর বাটাজোর মাহিলারা গ্রামের মোঃ ইয়াকুব হাওলাদার প্রায় সময় যুবতীকে কু-প্রস্তাব দিত। এ কথা পরিবারকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ইয়াকুব । এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাতে ঐ যুবতী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে ইয়াকুবসহ কয়েকজন মুখ চেপে ধরে এবং জোরপুর্বক ধর্ষণ করে।
এছাড়াও বিয়ের প্রলোভনে ১৬ বছরের এক যুবতীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৬ বছরের তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৩ জুলাই ধর্ষণ করে এক বখাটে। পরে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করায় আদালতে মামলা করেন ঐ তরুণী।
এদিকে একটি ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক চৌকিদারকে যাবজ্জীবক সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। জানা যায় নারগিস বেগম তার বোন জাহানারা বেগমের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। নারগিস ও তার বোন জাহানারা বেগম ইসলামী তালিম করতে পাশের বাড়ীতে যায়। এ সময় ঐ বাড়িত কেউ ছিল না। ওই সময় বাদীর মেয়ে খাদিজা বেগম (১৬) ঘরে একা ছিলো। সেই সুযোগে চৌকিদার ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে বাদীর মেয়ে খাদিজা বেগম কে কু প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজী না হলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে মা নারগিস বেগম বাদী হয়ে মামলা করলে ঐ মামলায় আসামী হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব চৌকিদারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এ ছাড়াও বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জানা যায়, মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রীটি তার বাবার দোকানের পাশে খেলা করছিল। তার বাবার ব্যস্ততার সুযোগে দুপুরে আসামিরা চকোলেট খাওয়ানোর কথা বলে শিশুটিকে পশ্চিম ডুমুরিয়া এলাকায় নির্মাণাধীন একটি পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে শিশুটি বিষয়টি তার বাবাকে জানালে তিনি আসামিদের কাছে জানতে চান। এ সময় আসামিরা একে অপরকে দোষারোপ করে ও ভিডিওচিত্র ধারণের কথা স্বীকার করে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: সাইফুল ইসলাম দৈনিক আজকের বার্তাকে জানান, অধিকাংশের ক্ষেত্রে এসকল ঘটনায় মামলা দায়ের হয় এবং অভিযোগ দেয়া হয়। সেই সকল মামলা বা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা আসামী বা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তবে কিছু বিষয় আছে যেমন বিয়ের প্রলোভনেও কিন্তু অনেক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধ দমনে পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বিডি ক্রাইমকে জানান, আমাদের সামাজিক অনাচার ও ব্যাভীচার বেড়ে যাওয়া এর অন্যতম কারণ। আমাদের সন্তানদের অভিভবকদের আরো সতর্ক থাকতে হবে। তাদের ছেলে-মেয়েরা কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, এসব নজরে রাখতে হবে। এ সকল ঘটনার শিকার কিন্ত বেশির ভাগই তরুণী। তাদেরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বা প্রতারণার ফাঁদে ফেলেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক তরুণ নিজেদের উচ্চ পরিবারের দেখাতে গিয়ে অনেক সময় দামি দামি গাড়ি নিয়ে শো-অফ করে তরুণীদের ফাঁদে ফেলে। এ বিষয়ে সচেতনার বিভিন্ন দিক আমাদের তুলে ধরতে হবে।