বরিশালে ডেঙ্গু রোগী নিয়ে বেসামাল শেবাচিম
বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা। মঙ্গলবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন চলতি মৌসুমের সর্বাধিক ৪৬ জন রোগী।
চিকিৎসাধীন রোগীদের রয়েছে নানা অপ্রাপ্তির অভিযোগ। তবে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম।
জানা গেছে, গত সোমবার ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের ৪টি মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৩০ জন রোগী। ওইদিন আরও ২৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি যায় ১৩ জন রোগী। সে হিসেবে সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিলো ৪৬ জন। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ সংখ্যক।
এর আগে, গত রবিবার চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪১ জন, শনিবার ২৭ জন, শুক্রবার ৩৭ জন, বৃহস্পতিবার ৩০ জন এবং গত বুধবার চিকিৎসাধীন ছিলেন ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী।
চিকিৎসাধীন রোগীরা জানান, চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মশারি দেয়া হতো না। দু’দিন আগে বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর কিছু সংখ্যক ডেঙ্গু রোগীকে মশারি দেয়া হলেও এখনো অনেকে মশারিবিহীন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সন্দেহজনক ডেঙ্গু রোগী ও সাধারণ রোগীরা জানান, ডেঙ্গু মশা বাহিত রোগ। অথচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেক রোগী এখনও মশারি পায়নি।
মশারিবিহীন ডেঙ্গু রোগীদের শরীরে বসা মশা অন্য কারোর শরীরে বসলে তারও ডেঙ্গুর ঝুঁকি থাকে। মেডিসিন ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগী রাখায় আতঙ্কে রয়েছেন ওই ওয়ার্ডের সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনরা। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থান সংকটের কারণে ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা স্থানে চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম। সীমিত সামর্থের মধ্যে ডেঙ্গু রোগীদের যাবতীয় সমস্যা সমাধানসহ তাদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৫ মাসে ডেঙ্গু সন্দেহে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫১ জন রোগী। জুন মাসে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৪৯ জন। জুনের শেষ ভাগ থেকে প্রতিদিন বাড়ছে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।