বাংলাদেশের স্বস্তির জয়
প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবালের সঙ্গী ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ইনিংসের শুরু করেন লিটন দাস। ওপেনিংয়ে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করেন। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট ছেড়ে ছক্কা হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেন তিনি। এরপর পয়েন্টে দু্র্দান্ত এক কাট শটে বাউন্ডারির দেখা পান।
দুর্দান্ত শুরুর পর সেই পারফর্ম ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। এতেই যেন বিপদ ডেকে আনে লিটন। মার্ক অ্যাডায়ারের পঞ্চম ওভারের শেষ বলটি শট লেন্থে ছিল। রানের আশায় পুল করতে গিয়ে ঠিকমত টাইমিং না হওয়ায় বল হ্যালমেট ছুঁয়ে স্টাম্পে লাগে। ১৯ বলে ২৩ রান সংগ্রহ করে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
লিটনের বিদায় হলেও অপর প্রান্তে ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন অভিজ্ঞ তামিম। শুরু থেকে হাত খুলে শট খেলেছেন। একইভাবে ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেছেন শান্ত। যদিও বেশি সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ৪ রান সংগ্রহের পর স্লিপে আটকে যান। সাজঘরে তার চলে যাওয়ায় দলীয় হাঁফ সেঞ্চুরি হওয়ার আগেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
বিরতির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বাকি সময় ভালোভাবেই খেলেছেন মুশফিক ও তামিম। মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিং ছিল দেখার মতো। এদিন দেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের রেকর্ডও করেন তিনি। এ তালিকায় বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে রয়েছেন তামিম।
বিরতির পর ফিরে বেশি সময় টিকতে পারেননি তামিম। ইনিংসের ২১তম ওভারে আউট হন। ৬৫ বলে ৩১ রান সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর মুমিনুল ইসলামকে নিয়ে খেলতে থাকেন মুশফিক। এই ইনিংসেও দুর্দান্ত খেলেন তিনি। ব্যক্তিগতভাবে হাফ সেঞ্চুরি করেন। অবিচ্ছিন্ন এই জুটির ব্যাটেই জয় পায় বাংলাদেশ।