অব্যবস্থাপনায় শেবাচিম,নেই কঠোর মনিটরিং!
রুপন কর অজিতঃ দক্ষিণানাঞ্চলের বৃহৎ চিকিৎসা সেবা দানকারী হাজার শয্যার সরকারী প্রতিষ্ঠান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। চিকিৎসা সেবায় দূর-দুরান্ত থেকে আসা অসহায় রোগীদের একমাত্র ভরসাস্থল এটি। দক্ষিনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুচিকিৎসা প্রাপ্তির আশায় প্রতিনিয়ত এই প্রতিষ্ঠানমুখী হয় সাধারণ মানুষ। একদিকে সুচিকিৎসা অন্যদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ির ফেরার প্রত্যাশা নিয়েই হাসপাতালটিতে জড়ো হয় নানা রোগে রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা। তথাপি প্রত্যাশার বিপরীতে ঘটে উল্টো অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ধরণের অপ্রিতিকর ঘটনা। সেবা নিতে এসে তার বদলে হয়রানী ও লাঞ্ছিতের স্বীকৃতি কাঁধে নিয়েই ফিরতে হয় রোগী ও স্বজনদের। এমন অভিযোগ খোদ সেবা প্রত্যাশীদেরই।
এছাড়াও নানা অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরিন ব্যবস্থাপনা ঘিরেও। সঠিক তদারকি ব্যবস্থা না থাকায় নিন্মশ্রেনীর কর্মচারী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার দায়িত্বেও রয়েছে গলদ। নানা অসাধু কর্মকান্ডেরও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। গত বছরে বিতর্কিত কিছু কর্মকান্ডে শেবাচিমের ব্যবস্থাপনার বিরুদ্বে কড়া সমালোচনা হয়। খোদ স্বাস্থ সচিব পরিদর্শনে এসেও অব্যবস্থাপনা নজরে আসলে তিনিও ক্ষিপ্ত হয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। নির্দিস্ট ব্যক্তিদের ওপর আরোপিত দায়িত্ব যথাযথ পালনে অনীহা ও ক্রুটিপুর্ণ ব্যবস্থাপনায় সচেতন মহলও এনিয়ে তীব্র নিন্দা ছুড়ে।
এদিকে রক্ষকের দায়িত্বে থাকা ডাক্তারদের বিরুদ্বে রোগী ও স্বজনদের সীমাহীন অভিযোগ। যা শুধু অভ্যন্তরেই সীমাবদ্ধ থাকেনি সেটি গড়ায় সংবাদ সম্মেলন পর্যন্তও । সেবাদানে মুখ্য ভুমিকা পালনকারী সেই রক্ষক ডাক্তারদেরই বিচারের দাবী জানায় ভুক্তভুগীরা। চলতি বছরের শেষের দিকে ঘটে এমনই একটি অপ্রিতিকর ঘটনা। জানাযায়, বরিশাল নগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. রব বেপারীর কন্যা রেনু বেগম (৫৫)। গত ২৯ নভেম্বর সকালে শেবাচিমের সিসিইউ-তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এরপরই তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনদের অভিযোগের তীর ভেদ করে কর্ত্যব্যরত ডাক্তারদের ওপর। অভিযোগ ওঠে দায়িত্বে অবহেলায় ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি স্বজনদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা। সুনির্দিস্ট সেই অভিযোগ নিয়ে স্বজনরা দ্বারস্থ হন শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের কাছে। দেয়া হয় লিখিত অভিযোগও। সেখানে ,“হৃদরোগ বিভাগে ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু প্রসঙ্গে” বিচারের দাবী চাওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের কাছে। কিন্ত এতে নড়েনি পরিচালকের টনক। কর্নপাত করেননি ভুক্তভুগীদের আবেদনে। বাধ্য হয়ে স্বরনাপণ্য হন সাংবাদিকদের। ২০ ডিসেম্বর বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ওই পরিবারটি।
নিহত রোগীর ছেলে আরাফাত চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. মুসফিকুজ্জামানের বিরুদ্বে গুরুত্বর অসুস্থ রেনু বেগমকে হাসপাতাল থেকে নাম কেটে দেয়ার অভিযোগ তোলেন। অভিযোগে অসুস্থ থাকলেও ফের ভর্তি করালে রেনু বেগমকে পরামর্শের বিপরীতে বারবার ছাত্রপত্র দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। এবিষয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার বলেন, আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, তা শুনেছি। বিষয়টি দুঃখজনক।
তবে আমি লিখিত জবাব দিয়ে দিয়েছি। তিনি তার নামে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান। সেসময় শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, রোগীর স্বজনের লিখিত অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের ডা. অমলেন্দু বিশ্বাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মৃতের ছেলে বলেন, আমি আমার মায়ের মৃত্যুর বিচার চাই। চাই ক্ষতিপূরণসহ ডা. মো. মুসফিকুজ্জামানের শাস্তি। যাতে ভবিষ্যতে কোনো রোগীর সঙ্গে কেউ খামখেয়ালিপণা করার সাহস না পায়।
কিন্ত সেই অভিযুক্তের বিরুদ্বে আদৌ কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা তা আর কর্তৃপক্ষ জানায়নি। শুধু রেনু বেগমের স্বজনদেরই এ অভিযোগ নয়। বিভিন্ন সময় ডাক্তারদের বিচারের দাবী জানিয়ে স্বজনরা নানা মহলের দ্বারস্থ হন। এমনকি ডাক্তারদের কাছে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিতের ঘটনা অহরহ প্রকাশ্যে আসে। এদিকে চিকিৎসা সেবা দানকালে ডাক্তারদের অসতর্কতা একধরণের অবহেলায় চিকিৎসা নিয়েও সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে রোগীর জীবন। গত ১৬ এপ্রিল ঘটে তেমনি এক ঘটনা।
জানাযায়, ঐদিন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক কন্যাসন্তান জন্ম দেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার জিয়াউল হাসানের স্ত্রী শারমিন আক্তার শীলা। অস্ত্রোপচারের পর তার পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেন এক চিকিৎসক। শারমিন আক্তারের পেটে দীর্ঘদিন গজ থাকায় পেটের ভেতরে পচন ধরে নাড়ি ফুটো হয়ে যায়। পরে অস্ত্রোপচার করে গজ অপসারণ করা হয়। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান, এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে অনারারি মেডিকেল অফিসার মো. তাহেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অস্ত্রোপচারের সময় উপস্থিত থাকা হাসপাতালের দুইজন স্টাফ নার্সকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
এদিকে গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হাসপাতালের মেডিসিন-৩ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা যান মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে রিজিয়া বেগম (৬০)। এখানেও হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ করেন স্বজনরা।
এর আগে হাসপাতাল এবং কলেজে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করা, হাসপাতালের চেয়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত দুদক বরিশাল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাজকুমার সাহার নেতৃত্বে ৫ জনের একটি টিম অভিযান চালান হাসপাতালে। অভিযানে অভিযোগের সত্যতাও পায় দুদক। এ সময় দুদক টিমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন কলেজ অধ্যক্ষ। অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, সরকারি হাসপাতালে থেকে ব্যক্তিগত চেম্বার করা যাবে না এমন কোনো নির্দেশনা আছে বলে জানা নেই। যদি থাকে তাহলে চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত চেম্বার করবেন না। তাছাড়া কতজন রোগী দেখতে পারবেন সে বিষয়েও কোনো নির্দেশনা নেই।
এছাড়াও আয়া-বুয়া ও ট্রলিম্যানদের বিরুদ্বেও রয়েছে নানা অভিযোগ। চাহিদানুযায়ী অর্থ না দিলে আয়া ও বুয়ারা ঠিকমত দায়িত্বও পালন করেন না। ৯ জানুয়ারি দুপরে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ১২ নম্বর শয্যা ঘিরে দুই নারীর বাগবিতণ্ডা ঘটতে দেখা যায় । তাঁদের মধ্যে বিছানার চাদর নিয়ে টানাটানি। কয়েক মিনিট পর তাঁদের মধ্যে অর্থের বিনিময়ে সমঝোতা হলে শিশু রোগী নিয়ে শয্যায় ওঠেন এক অভিভাবক।
শয্যায় ওঠা আরেক রোগীর স্বজন জানান, চারদিন ওয়ার্ডের মেঝেতে থাকার পর শয্যাটি পেতে বুয়াকে ১১০ টাকা দিতে হয়েছে। শয্যা নিয়ে এ রকম কাড়াকাড়ি দিনে একাধিকবার ঘটছে শেবাচিম হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। ট্রলিম্যানদের বিরুদ্বেও একই অভিযোগ। টাকা না দিলে জরুরী বিভাগ থেকে রোগী বহন করা হয়না সুনির্দিস্ট ভর্তি ওয়ার্ডে। যা নিয়ে সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হলে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ্যে আসে।
স্বজনদের অভিযোগ , ট্রাকের ধাক্কায় নারী গুরত্বর আহত হলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে ট্রলিম্যানরা ২০০ টাকা দাবী করে। সেনুযায়ী না দেয়ায় ট্রলি নিয়ে ডাক্তারদের কাছে রোগিকে নিয়ে যাওয়ায় কালক্ষেপণ হয়। এতে ঐ নারীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের। তবে কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই দুর্ঘটনার কারণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালটির জরুরী বিভাগের টিকিট বিক্রিতে দায়িত্বরত কর্মচারীদের বিরুদ্বেও। নির্দিস্ট অর্থের বিপরীতে টিকিট বিক্রি করছেন অতিরিক্ত অর্থে। যা নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়। তথাপি ব্যবস্থা নেয়ার কোন উদ্যেগ নিতে দেখা যায়নি সংশ্লিস্ট প্রশাসনের।
এদিকে গত বছরের পহেলা ডিসেম্বর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ড নতুন ভবনে (কোভিড হাসপাতাল ভবন)স্থানান্তর না করায় পুনঃপরিদর্শনে এসে হতবাক হয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব সহ কর্মকর্তারা। হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেই মেডিসিন ওয়ার্ড স্থানান্তরের বিষয়টি জানতে চান সচিবসহ কর্মকর্তারা। পরে তিনি কর্মকর্তাদের নিয়ে নতুন ভবনেও যান। সেখানে গিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ড স্থানান্তর না হওয়ার কারন জানতে চাইলে পরিচালকের উত্তরে মেডিসিন ওয়ার্ডের প্রধান আনোয়ার হোসেন বাবলুকে ডাকা হয়।
তবে বাহারি রংয়ের পাঞ্জাবি-কোটি পরে আসা চিকিৎসককে দেখে চিনতে পারেননি সচিব। পরে পরিচয় শেষে ওই চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি ভবনের কাজ শেষ না হওয়াসহ বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। পরবর্তীতে পূরাতন ও নতুন হাসপাতাল ভবন পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, শেবাচিম হাসপাতালে জনবলের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে যে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
আর চিকিৎসকের ঘাটতি বা আনা-নেয়ার বিষয়টি থাকলে সেটিও দেখা হবে। আর হাসপাতালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের অনিয়ম রোধের বিষয়ে তিনি বলেন, চতুর্থ শ্রেনীর লোকজন আর আমরা দিবোনা। তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হাসপাতাল জিম্মি করে এমন অভিযোগ আমাদের কাছেও রয়েছে। সম্প্রতি হাসপাতালের কিডনী রোগীদের ডায়ালাইসিস মেশিন ঘিরেও আলোচনায় আসে শেবাচিম।
হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, বর্তমানে পুরোনো ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নতুন দশটি ডায়ালাইসিসের মেশিন নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে থাকা মেশিনের বাক্স খোলা হয়নি। যে কারণেই সেবাদান ব্যাহত হচ্ছে।এতে সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।
অর্থাৎ নানাবিধ অব্যবস্থাপনায় বৃহৎ এ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান জর্জরিত হয়ে রয়েছে। সচেতন মহলে দাবী, এ থেকে উত্তোরণে উচ্চ পর্যায়ের কঠোর মনিটরিং ও হাসপাতাল প্রশাসনের তৎপর হওয়া অতিসত্বর জরুরী। অন্যথায় একদিকে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার সাথে স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন বাস্তবায়নও বিঘ্নিতের মুখে পতিত হবে । অন্যদিকে জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যথাযথ সেবা প্রাপ্তির বিপরীতে হয়রানী ও চিকিৎসা বঞ্চিতই রয়ে যাবেন। সেবায় কার্যকরী ভুমিকা থেকে পিছিয়ে পড়বে সেবাদানকারী সরকারী এ হাসপাতালটি।
এ বিষয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, শীগ্রই এসকল অব্যবস্থাপনা সামাধান করা হবে। এছাড়া ডাক্তারদের বিরুদ্বে অভিযোগে বিষয়ে তিনি বলেন, রোগীদের যথাযথ সেবা প্রদান ও ভাল ব্যবহারের প্রতিটি মিটিং এ তাদের অবহিত করা হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ মো.হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, আয়া-বুয়া ও ট্রলিম্যানরা যে কাজ করেছ তা সম্পূর্ন বেআইনী। ডায়ালাইসিসের মেশিন সম্পর্কে বলেন দশটি নতুন মেশিন এসেছে জানি কিন্তু সংযোগ দেয় হয়েছে কিনা তা আমি জানি না। ডাক্তারদের আবহেলা ও রোগীদের হয়রানি শিকার সম্পর্কে তিনি বলেন, কিছু আকস্মিক ও দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে । এগুলো আমি একদমই সামর্থন করিনা। আমি এ ব্যাপারগুলো খতিয়ে দেখছি। ভবিষ্যতে এগুলো না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা হবে।