নগরীতে সবজির বাজার চড়া, দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের
রুপন কর অজিতঃ কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে ব্যহত হচ্ছে বরিশালের বাজারে সবজির সরবরাহ। ফলে খানিকটা বাড়তি সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।
শীতের ভরা মৌসুুমে সবজির দাম নাগালে থাকার কথা থাকলেও তীব্র শীতে আর ঘন কুয়াশার কারনে বরিশালে সবজির বাজার চড়া।সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি সবজিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
বাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন,শীতের মৌসুমে সবজির দাম গত সপ্তাহে কম থাকলে এ সপ্তাহে তা কেজি প্রতি ৪/৫ টাকা বেড়েছে,সব থেকে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম।এর প্রধান কারন হল তিব্র শীত আর ঘন কুয়াশা।কুয়াশা বেশির কারনে সবজির গাড়ি রাস্তায় আটকে থাকে যার কারনে অনেক সবজি রাস্তায় বসে নষ্ট হচ্ছে।এই কারনে দাম একটু বেশি।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজারে মূলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৪০টাকা ,শালগম প্রতি কেজি ৩০ টাকা,পেঁপে প্রতি কেজি ৩০,পেঁয়াজের ফুল ১০ থেকে ১৫ টাকা আঁটি,বেগুন প্রতি কেজি ৪৫ টাকা,টমেটো প্রতি কেজি ৪৫ টাকা,শসা ৩০ টাকা,লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৯০ টাকা,ফুলকপি প্রতি কেজি পিস ৩০ টাকা,নতুন আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা,গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা,শিম প্রতি কেজি ৪০ টাকা,করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা,বাঁধাকপি প্রতি পিস ২৫ টাকা।
প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা এবং রসুন দেশি ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদার দাম পড়ছে ১২০ টাকা।প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১০ টাকা। প্রতি কেজি খোলা আটা ৬০ টাকা এবং প্যাকেট আটার ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৩৫ টাকা এবং ভারতীয় মসুর ডালের দাম লাগছে ৯৫ টাকা। এ ছাড়া বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা এবং লবণের কেজি ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিমের দাম পড়ছে ২১০ টাকা।
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ ও লেয়ার মুরগি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে ৮০০ কেজি গরুর মাংস এবং ৯০০ টাকা কেজি দরে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চালের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে।তবে আগের মতোই চড়া দাম রয়েছে মাছের বাজারে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতা ফারিয়া পারভিন বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েই চলছে। এমন চলতে থাকলে কয়েক দিন পর না খেয়ে থাকতে হবে।এ পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর প্রদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ক্রেতারা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সূমি রানী মিত্র বলেন,জনস্বার্থে আমাদের বাজার তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।কেউ অযথা মূল্য বৃদ্ধি করলে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আপনাদের ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন কোন ঘটনা ঘটলে আমদের অবগত করুন বা ১৬১২১ নম্বরে যোগাযোগ করুন।আমরা তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।