নাজিরপুরে মালবেরি চাষে মিতালির সাফল্য
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের নাজিরপুরের মিতালী হালদার মালবেরি চাষ করে সফল হয়েছেন। তিনি নতুন এ ফলটি পরীক্ষামূলকভাবে চাষের জন্য থাইল্যান্ড থেকে দুটি গাছ সংগ্রহ করেন। ওই দুটি গাছেই প্রচুর পরিমাণে ফল ধরেছে। থোকায় থোকায় ঝুলছে মালবেরি। গাছজুড়েই শোভা পাচ্ছে সবুজ, লাল ও কালো লম্বাটে ছোট আকারের অসংখ্য মালবেরি ফল।
বিদেশি উচ্চমূল্যের পুষ্টিগুণসম্পন্ন মালবেরি ফল চাষে মিতালীর উদ্যোগে উপজেলায় অনেক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে এটি চাষের পরিকল্পনা করছেন।সরেজমিন দেখা গেছে, গাছভর্তি থোকায় থোকায় ঝুলে রয়েছে মালবেরি। পাতার চেয়ে ফল বেশি ধরে আছে। গাছের পাতা কিছুটা ডিম্বাকার, খাঁজযুক্ত ও অগ্রভাগ সুচালো। আকারে আঙুরের চেয়ে কিছুটা বড় মালবেরি এই ফল। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিলেই ফল পাকে। প্রথম অবস্থায় সবুজ পরে লাল এবং সম্পূর্ণ পাকলে কালো রং ধারণ করে। পাকা মালবেরি রসাল এবং টক-মিষ্টি। প্রতিটি গাছ থেকে মালবেরি ৮-১০ কেজি সংগ্রহ এবং চারাও তৈরি করা যায়।
খুব সহজেই ছাদে এটি চাষ করা সম্ভব।এ বিষয়ে উদ্যোক্তা মিতালী; হালদার বলেন, ‘আমি পরীক্ষামূলকভাবে থাইল্যান্ড থেকে এক জাতের দুটি গাছ সংগ্রহ করে মালবেরি চাষ করেছি। পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা দুটি গাছেই প্রচুর পরিমাণে ফল ধরেছে। এ ফল গাছে রোগবালাই খুবই কম হয়। তাই কীটনাশকও তেমন লাগে না। উৎপাদন খরচও কম। শুধু জৈব সার দিলে প্রায় সারা বছরই এ ফল পাওয়া যাবে।’উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা দিগ্বিজয় হাজরা বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি বিদেশি ফল চাষের জন্য উপযোগী।
আমার জানামতে, নাজিরপুরের দু-একজন পরীক্ষামূলকভাবে দু-একটি চারা লাগিয়েছেন। তবে তাঁরা সফল কি না, তা আমি জানি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হলে আমরা তাঁদের সহযোগিতা করব। রোগবালাই দমনে পরামর্শ দেব।’